শেষ যাত্রায় পতাকা পেলেন না দাপুটে তৃণমূল নেতা! 'বাধা'য় শববাহী গাড়িতে লাগানো গেল না পতাকাও
তৃণমূলের ডাকা বনধে এদিন থমথমে ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া এলাকা। শনিবার সকালে গুলিতে খুন হন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম। এদিন পোস্ট মর্টেমের পর শবদেহের ওপর পতাকা দিতে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন কী গাড়িতেও পতাকা লাগাতে বাধা দেন তাঁরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় অনেকের অভিযোগ খুনের পিছনে থাকতে পারে তৃণমূলও।

সকাল থেকেই থমথমে এলাকা
দলের নেতা খুনের প্রতিবাদে চুঁচুড়ায় বনধের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। ফলে থমথমে ছিল গোটা এলাকা। স্থানীয় বিধায়ক তপন মজুমদার অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে ছিলেন চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পোস্ট মর্টেম শেষ হওয়ার পর আর পাওয়া যায়নি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের।

তৃণমূলের পতাকা দেওয়ার বিরোধিতা
পোস্ট মর্টেম হওয়ার পর দেহ তুলে দেওয়ার হয়েছিল দিলীপ রামের পরিবারের হাতে। সেই সময় দেহের ওপর পতাকা দিতে চেয়েছিল তৃণমূল। গাড়িতে তৃণমূলের পতাকা দিতেও চাওয়া হয়েছিল। দুটিতেই বিরোধিতা করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। অনেকেই অভিযোগ, খুনের ঘটনার পিছনে তৃণমূলের যুক্ত থাকা অসম্ভব কিছু নয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি করেন।

দিলীপ রামের বিজেপি যোগ নিয়ে প্রশ্ন
স্থানীয় বিজেপি সূত্রে খবর, দিলীপ রাম বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিলেন। সেই জন্যই তৃণমূলের এই নেতাকে খুন হতে হল কিনা, তা নিয়ে
প্রশ্ন উঠছে।
এই খুনের ঘটনায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ছাড়াও নেতার স্ত্রীও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই খুনে নাম উঠে আসছে এলাকার কুখ্যাত
দুষ্কৃতী লালা পাসোয়ানের ভাই বিজু পাসোয়ানের। বিজেপির দাবি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুনের ঘটনা।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে প্রভাবশালী তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর! অভিযোগ বিজেপির দিকে ]
[আরও পড়ুন: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত ঘাটালে ভাঙচুর! আহত ৭ জন ]