খোলা ময়দানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জলসায় অনুমতি রাজ্য সরকারের, স্বস্তিতে সঙ্গীত শিল্পীরা
খোলা ময়দানে দর্শকদের সামনে মন খুলে গান করা, প্রত্যেক সঙ্গীত শিল্পীর স্বপ্ন। এতবছর তাঁরা সেভাবেই দর্শকদের সঙ্গে নিজেদের হৃদয়ের যোগ বাড়িয়ে তুলছিলেন। কিন্তু এ বছর যেন সবকিছু গণ্ডগোল হয়ে গেল। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কোনও জন সমাবেশ বা খোলা ময়দানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবই বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু অবশেষে কয়েক মাসের এই অচল অবস্থা কাটতে চলেছে। রাজ্য সরকার খোলা ময়দানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জলসা করার অনুমতি দিল। সঙ্গীত শিল্পীদের পাশাপাশি দর্শকদেরও মিলল স্বস্তি। লোপামুদ্রার গানের অনুষ্ঠান দিয়েই এই অচলাবস্থা কেটে গেল।

পুজো পরবর্তী একটি অনুষ্ঠানে এসে গান গাইলেন লোপামুদ্রা মিত্র। এই অনুষ্ঠানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের খুশি প্রকাশ করলেন শিল্পী। লোপামুদ্রা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, 'এত সুন্দর ব্যবস্থা। প্রতিটি নিয়ম মেনে অনুষ্ঠান হল। প্রতিটি মানুষকে পরীক্ষা করে , স্যানিটাইজার দিয়ে, মাস্ক পরে , তারপর। দুটি চেয়ারে ৬ ফুট দূরত্ব বজায়। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। এটাই চাইছিলাম আমরা। চলো, সবাই মিলে কাজে ফিরি। বাংলাগানের জয় হোক।’ লোপামুদ্রার পাশাপাশি সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি সঙ্গীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী। তিনিও সম্প্রতি এক জায়গায় অনুষ্ঠান করেছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই।
রূপঙ্কর বাগচি জানিয়েছেন, সঙ্গীত দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। এই কয়েকমাসে তাঁদের জীবন যেন থমকে গিয়েছিল। বড় শিল্পীদের পাশাপাশি অনেক ছোট সঙ্গীত শিল্পীরাও রয়েছেন, যাঁরা পাড়ায় পাড়ায় গান গেয়ে জীবিকা নির্ধারণ করেন তাঁদের সবকিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে আবার তাঁরা নতুন করে বাঁচার রসদ খুঁজে পেল।
সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি রাঘব চট্টোপাধ্যায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সকলেই জানিয়েছেন কোভিড বিধি মেনে, সামাজিক দুরত্ব ও সীমিত সংখ্যক দর্শক নিয়ে এখন কিছুদিনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলুক। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের পুরনো জায়গায় ফিরে যাওয়া যাবে।

জঙ্গি নিশানায় এয়ার ইণ্ডিয়ার ২টি বিমান, লাল সতর্কতা জারি দিল্লি বিমানবন্দরে, বাড়ানো হল নিরাপত্তা