সিনে কেরিয়ারে কোন কোন স্বীকৃতি পেয়েছেন ফেলুদা, দেখে নিন লম্বা তালিকা
৮৫ বছর বয়সে অমৃতলোকে বিলীন হয়ে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। রেখে গেলেন অগনিত কাজ ও স্বীকৃতি। ঘরের ছেলে হয়ে ওঠা অপুর চলে যাওয়াটা তাই মেনে নিতে পারছে না বাংলা। শোকস্তব্ধ দেশের সিনেমা জগত। সেসবের মধ্যেই দেখে নেওয়া যাক কেরিয়ারে কী কী সম্মান পেয়েছেন কিংবদন্তি সৌমিত্র। দেখে নেওয়া যাক লম্বা তালিকা।

জাতীয় পুরস্কার
১) ১৯৯১ সালে 'অন্তর্ধান' সিনেমায় অভিনয় করে স্পেশাল জুরিদের বিচারে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
২) ২০০০ সালে 'দেখা' সিনেমায় প্রয়াত অভিনেতার কাজও জাতীয় পুরস্কারের স্পেশাল জুরি বিভাগে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছিল।
৩) ২০০৬ সালে 'পদক্ষেপ' সিনেমার জন্য জাতীয় স্তরে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
৪) ২০১২ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন ফেলুদা।

সরকারি স্বীকৃতি
১) ১৯৯৯ সালে ফ্রান্সের সম্মানিক ওর্ডার ডে আর্টস স্বীকৃতি পেয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
২) ২০০৪ সালে কিংবদন্তি অভিনেতাকে পদ্মভূষণে ভূষিত করেছিল ভারত সরকার।
৩) ২০১২ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির তরফে 'টেগোর রত্ন' সম্মান দেওয়া হয়েছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে।
৪) ২০১৮ সালে ফ্রান্স সরকারের তরফে লিজিওন অফ অনার পেয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা।

ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ইস্ট
১৯৭৫, ১৯৭৭, ১৯৭৯, ১৯৮৩ সালে যথাক্রমে সংসার সীমান্তে, বাবু মশাই, গণদেবতা, অগ্রদানী সিনেমার জন্য ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ইস্টের সেরা অভিনেতা হয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ১৯৯৪ সালের দক্ষিণের ফিল্ম ফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার পেয়েছিলেন কিংবদন্তি। ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে সেরা অভিনেতা হয়েছিলেন অপু।

বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড
১৯৬১, ১৯৬৩, ১৯৬৯, ১৯৭৪, ১৯৭৬, ১৯৮৭, ১৯৮৯ এবং ২০০৬ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। প্রতিবারই সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন অপু।