সুরাপ্রেমীদের জন্যে সুখবর! শর্ত মেনে এবার খুলতে চলেছে মদের দোকানও
সংক্রমণ কমছে করোনার। এই অবস্থায় একগুচ্ছ বিধি নিষেধে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে বেশ কিছু দোকান খোলা থাকবে। এমনটাই জানানো হয়েছে।
সংক্রমণ কমছে করোনার। এই অবস্থায় একগুচ্ছ বিধি নিষেধে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে বেশ কিছু দোকান খোলা থাকবে। এমনটাই জানানো হয়েছে।
আর এর নির্দেশিকাতে সুরাপ্রেমীদের জন্যে অবশ্যই স্বস্তির খবর। জানা গিয়েছে, করোনা বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে খোলা থাকবে মদের দোকান।
জারি রয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ
গত কয়েকদিন ধরে ক্রমশ বাড়ছিল করোনার সংক্রমণ। এই অবস্থায় রাজ্যে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত ছিল প্রথম ধাপের এই বিধি নিষেধ। এরপর ফের ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয় বিধি নিষেধ। রাজ্যে জারি রয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। সেই বিধিনিষেধেই এবার কিছুটা ছাড় দিল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেঁধে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সময়সীমা
সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকান, বাজার। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত শাড়ি এবং গয়নার দোকান খোলা থাকার কথা। মিষ্টির দোকান খোলার ক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সময়সীমা। তবে পাটশিল্প এবং নির্মাণ ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছিল। খুচরো দোকানও খোলা রাখতে দেওয়া হোক, এই আবেদন জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেই অনুরোধ অনুযায়ী বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হল।
রাজ্যে খোলা থাকবে মদের দোকান
বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে খোলা থাকবে মদের দোকান। এক নির্দেশিকায় আবগারি দপ্তর জানিয়েছে, খুচরো দোকানের মধ্যেই ধরা হবে ফরেন লিকার অফশপগুলিকে। দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে এই দোকানগুলি। তবে মাণতে হবে কিছু শর্ত। দোকানের সামনে ভিড় করা যাবে না। সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে দোকান চালাতে হবে। মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক।
১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হবে
১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রে শুরু করা যেতে পারে কাজ। টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে এমন শ্রমিককে নিয়ে নির্মাণ কাজ করা যেতে পারে। তবে সবক্ষেত্রেই দূরত্ববিধি মানা বাধ্যতামূলক। রাজ্যে জারি হওয়া বিধিনিষেধের জন্য বন্ধ রয়েছে ট্রেন, বাস এবং মেট্রো পরিষেবা। আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যে জারি থাকবে বিধিনিষেধ। । তবে বার ও রেস্তরাঁ আগের মতোই বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। বলে রাখা ভাল, ১৪ মে থেকে করোনা রুখতে কড়া বিধিনিষেধ জারি করে নবান্ন। টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে এমন শ্রমিককে নিয়ে নির্মাণ কাজ করা যেতে পারে। তবে সবক্ষেত্রেই দূরত্ববিধি মানা বাধ্যতামূলক। রাজ্যে জারি হওয়া বিধিনিষেধের জন্য বন্ধ রয়েছে ট্রেন, বাস এবং মেট্রো পরিষেবা। আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যে জারি থাকবে বিধিনিষেধ।