কেশপুরে সরকারি অফিসে রঙীন মজলিস, ছুটল মদের ফোয়ারা
কেশপুরে সরকারি অফিসে রঙীন মজলিস, ছুটল মদের ফোয়ারা
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের মধ্যে বাইরের লোকজন নিয়ে মদের আসর ও মজলিস বসানোর অভিযোগ উঠেছে কেশপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে এই রকম একটি মজলিস বসানো হয় , অন্য দিনের মতোই বলে অভিযোগ। এলাকার লোকজন অনেক রাত পর্যন্ত অফিস খোলা দেখে ও আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখেন যে সেখানে ওই আধিকারিক সরকারি অফিসের মধ্যেই বাইরের লোকজন নিয়ে মদের আসর বসিয়েছেন। সেখানে শুধুমাত্র খাবার ও মদের বোতল নয়, সাজানো বিছানাও দেখা গিয়েছে। এই নিয়ে এলাকার লোকজন দাবি করেছেন যে ওই অফিসের মধ্যেই নানা ধরনের অবৈধ কাজকর্ম করা হয়।
এই বিষয়টি জানার পর ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার প্রশাসন। জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক ( ভূমি) উত্তম অধিকারী জানিয়েছেন এই ধরনের অভিযোগ আসার পর তদন্ত শুরু হয়েছে ও বিডিও কে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। " রাতে কাজ করা নিয়ে কোন রকমের আপত্তি নেই। কাজের যা চাপ আছে তাতে কাজ থাকলে রাত পর্যন্ত সরকারি অফিসে কাজ হতেই পারে। কিন্তু যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ওই এলাকার বিডিও কে।"
বুধবার রাতের এই ঘটনা তিনি শুনেছেন বলে জানিয়েছেন কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা। তিনি বলেন, প্রশাসন এই অভিযোগ তদন্ত করে দেখুক। যদি অভিযোগ সত্য হয় তাহলে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
বুধবার রাতে যে অফিসের মধ্যে মদের আসর বসেছিল তা অস্বীকার করে কেশপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস দাবি করেছেন যে কাজের চাপ ছিল তাই রাতে কাজ করা হয়েছে। তবে রাত নটার পরেও যে বাইরের লোকজন ছিল তা মেনে নিয়েছেন তিনি।
এলাকার লোকজন জানিয়েছেন যে তারা প্রায় দিন অনেক রাত পর্যন্ত ভূমি সংস্কার দপ্তরের মধ্যে বাইরের লোকজন যেতে দেখেছেন ও মদের আসর বসানো হয় তা লক্ষ্য করেছেন। অনেক রাত পর্যন্ত সেখানে চিত্কার ও উল্লাসের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। তাদের দাবি, এই সরকারি অফিসে শুধুমাত্র বাইরের লোকজন নিয়ে মদের আসর বসে তাই না, চলে নানা ধরনের অবৈধ কাজ। বুধবার রাতে এলাকায় লোকজন রাত ন 'টার পরেও এই অফিসে লোকজন আছে দেখার পর ঢুকে পড়ে দেখেন আছে খাবার ও মদের বোতল। তারা মোবাইল ফোনে ওই ছবিও তুলে রাখেন।