মাঠে চাষ করার সময় বাজ পড়ে নিহত পাঁচ
প্রথম ঘটনাটি ঘটে জামালপুর থানার অন্তর্গত পাঁজরা সিমুলডাঙা গ্রামে। সুকুমার ক্ষেত্রপাল (২৬) এবং অনিল মালিক (৬২) অঝোর বৃষ্টিতে মাঠে কাজ করছিলেন। আচমকা বাজ পড়লে তাঁরা ঘটনাস্থলেই মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দু'জনে বিশ্রীভাবে ঝলসে গিয়ে মারা গিয়েছেন। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে জামালপুরেরই ভুলুক গ্রামে। যিশু হাঁসদা (১৭) এবং দীপু কিসকু (১৭)-ও একইভাবে মারা যায়। তাদের এক সঙ্গীও বজ্রপাতে পুড়ে গিয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বজ্রপাতের তৃতীয় ঘটনাটি ঘটেছে রায়না থানার অন্তর্গত আউসারা গ্রামে। এখানে বাজ পড়ে মারা যান হরিসাধন পণ্ডিত নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বয়স ৩৫ বছর। হরিসাধনবাবুর সঙ্গে বাকি যাঁরা মাঠে কাজ করছিলেন, তাঁদের মধ্যে আরও দু'জন জখম হয়েছে। এঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হরিসাধনবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর স্ত্রী ঝুমা পণ্ডিত (৩০) বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
বজ্রপাতের ঘটনায় বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেছেন, "খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে সরকারি নিয়মে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।"
গ্রামাঞ্চলে বর্ষাকালে বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা বিরল নয়। ফাঁকা মাঠে চাষের কাজ করার সময় প্রায়ই বাজ পড়ে। কাছাকাছি বড় গাছপালা থাকলে রক্ষে। নইলে সরাসরি বাজ এসে পড়ে দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করা মানুষজনের ওপর।