ইংরেজিতে পরীক্ষার্থী ১৯৩০, উত্তীর্ণ ১১ জন!
গতকাল অর্থাৎ বুধবার ফল বেরিয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশনের 'সেট' পরীক্ষার। দেখা যাচ্ছে, সার্বিকভাবে গতবারের তুলনায় পাশের হার বাড়লেও ইংরেজি এবং ভৌতবিজ্ঞানে ফল শোচনীয় হয়েছে। কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, এ বার ৩৪,২৯৯ জন এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষায় বসেন ২৬,১১১ জন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৬৪৩ জন। সেই হিসাবে মোট পাশের হার ৬.২৯ শতাংশ। এটা গতবার ছিল ২.৬২ শতাংশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ বারের পরীক্ষায় একটা অংশে এমসিকিউ ধাঁচে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাই হয়তো বেশি পরীক্ষার্থী পাশ করেছে।
কিন্তু ইংরেজিতে এত কম সংখ্যক পাশ করায় বোঝা গেল, রাজ্যের কর্মপ্রার্থী ছেলেমেয়েদের দুর্বলতা। এত কম সংখ্যক পাশ করায় কলেজগুলিতে ইংরেজি ভাষার অধ্যাপক পদে এ বার লোক পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠবে। বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন সময়ই বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট মেধাবী। অন্যান্য রাজ্যের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছে শুধু ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা না থাকায়। এ বার রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষাতেও সেটা প্রকট হয়ে পড়ল।
শিক্ষাবিদরা একমত, আজকের এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারই। বাংলা মাধ্যম স্কুলে প্রাথমিক স্তরে ইংরেজি তুলে দেওয়া হয়েছিল। অথচ ইংরেজি ভাষা যে বিশ্বকে জানার চাবিকাঠি, সেটা তখনকার 'দুঁদে' নেতাদের মাথায় ঢোকেনি। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে যারা পড়েছে, তারা কর্মক্ষেত্রে নেমে সহজেই সাফল্য পাচ্ছে। আর বাংলা মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়াদের ইংরেজি ভীতি কাটছে না। ফলে এখন তার মাশুল গুনতে হচ্ছে।