সকাল থেকে ‘বাঘবন্দি খেলা’ শেষে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু চিতা
উত্তর দিনাজপুর, ২ জানুয়ারি : সকাল থেকে বাঘ-বন্দি খেলা। অবশেষে সন্ধ্যার আগে ঘুমপাড়ানি গুলিতে মিলল স্বস্তি। কাবু হল চিতা। একটি ঘরের মধ্যে বন্দি করে চিতাটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়েছে। এরপর বাঘটিকে বনকর্মীরা খাঁচাবন্দি করে নিয়ে যাবেন ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে। চিকিৎসার পরই তাকে জঙ্গলে ছাড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
সোমবার রায়গঞ্জের গ্রামে ঢুকে দিনভর গ্রামবাসীকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে চিতা। সেই বাঘকে বন্দি করতেই হিমশিম হতে হয়েছে সাধারণ মানুষে থেকে শুরু করে বন দফতরের কর্মীদের। শুধু রায়গঞ্জই নয় জলপাইগুড়ির ওদলাবাড়িতেও চিতা আতঙ্কে তটস্থ গ্রামবাসী। এলাকায় মোট পাঁচটি চিতা ঢুকে পড়েছে বলে জানতে পেরেছে বনদফতরের কর্মীরা। চা-বাগান এলাকায় বাঘগুলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

এদিন সবথেকে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে রায়গঞ্জে। বাঘটি গ্রামে ঘুকে পড়ার পর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে বেড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তৎপরতায় বাঘটিকে বন্দি হয়। ইন্দিরা কলোনির একটি বাড়িতে টিনের চালায় বন্দি করে রাখা হয়েছে বাঘটিকে। তিনঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গ্রামে তাণ্ডব চালাল বাঘটি। চিতার তাণ্ডবে জখম হয়েছেন ন'জন গ্রামবাসী।
কিন্তু কী করে বাঘটিকে ওই ঘরে আটকে রাখা যাবে, তা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। বারবার খবর দিওয়া সত্ত্বেও বনকর্মীরা আসতে দেরি করায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। পরে বন দফতরের কর্মীরাই ওই ঘরের মধ্যে আটকে রাখা চিতাটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে বশ করেন। তারপর খাঁচাবন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়।