সুনিয়া গণধর্ষণ: ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন বাম বুদ্ধিজীবীরা
গত রবিবার ঘরছাড়া সিপিএম নেতা ব্যোমকেশ গিরির স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ব্যোমকেশবাবু ও তাঁর ভাই তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ জন কর্মীর বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ রুজু করেন। পুলিশ প্রথমে গড়মসি করলেও পরে তিনজনকে গ্রেফতার করে। এখনও ন'জন অভিযুক্ত পলাতক। কাঁথি থানার দাবি, ময়নাতদন্তে গণধর্ষণ ও খুনের প্রমাণ মেলেনি। বরং ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিকৃত করেছে বলে ইতিমধ্যে অভিযোগ করেছে সিপিএম।
সুনিয়া গণধর্ষণ-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে ধিক্কার মিছিল পালন করেছে বামফ্রন্ট। কলকাতা হাই কোর্টে ইতিমধ্যে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে। মৃতার পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করা হয়েছে ওই মামলায়। এ বার বুদ্ধিজীবীরা গিয়ে প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য কিছুতেই এই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের যোগ মানতে চাইছে না। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী আগেই বলেছিলেন, "ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নন। সিপিএম আষাঢ়ে গপ্পো ফাঁদছে।" একই সুরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেছেন, "আমাদের দলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। চক্রান্ত করে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ব্যবহার করছে সিপিএম। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে ঘাবড়ে গিয়ে কুৎসা চালানো হচ্ছে।"