রেশনে মাস্ক, স্যানিটাইজার-সহ একাধিক দাবি! আয়লার বাঁধের টাকা কোথায়, রাজ্যপালের কাছে বাম পরিষদীয় দল
রেশনে মাস্ক, স্যানিটাইজার-সহ একাধিক দাবি! আয়লার বাঁধের টাকা কোথায়, রাজ্যপালের কাছে বাম পরিষদীয় দল
রাজ্য বাম পরিষদীয় দলের তরফে মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করা হয় রাজ্যপালের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, কিন্তু তারপরে অনেক দিন কেটে গেলেও কেন এখনও কেন্দ্রীয় টিম আসেনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। রাজ্যপালের কাছে বাম পরিষদীয় দলের আবেদন কেন্দ্রীয় টিম আসলে যেন তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের বন্দোবস্ত করা হয়।
ত্রাণের বন্দোবস্ত দুর্বল
সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, রাজ্যে ত্রাণের বন্দোবস্ত এখনও খুব দুর্বল। এখনও পুনর্গঠনের কাজ শুরু করা যায়নি। তাঁর অভিযোগ রাজ্য সরকার তাদের দায়িত্ব পালন করছে না। অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা যায়নি। বাড়ি, গাছ, ঘর ভেঙে যাওয়ায় মানুষ দুর্দশাগ্রস্ত। কিন্তু পঞ্চায়েত সব জায়গায় দরখাস্ত নিচ্ছে না। এক্ষেত্রে অনলাইনে দরখাস্ত করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
গ্রামীণ কর্মসংস্থানে জোর
কৃষকের ফলসের ক্ষতিপূরণ, কৃষিঋণ মকুব করা, গ্রামীণ কর্মসংস্থানের প্রকল্পগুলোকে চালু করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
খাদ্যসুরক্ষা আইনের কথা স্মরণ
সুজন চক্রবর্তী খাদ্য সুরক্ষা আইন স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, দিল্লির ৫ আর রাজ্যের ৫। ১০ কেজি চাল, দিল্লির এক আর রাজ্যের এক ২ কেজি ডাল কোথায়। প্রশ্ন করেছেন তিনি।
মাস্ক ও স্যানিটাইজার রেশনে দেওয়ার দাবি
সুজন চক্রবর্তী বলেন, মাস্ক ও স্যানিটাইজার জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। তাই এই দুটি জিনিস রেশন থেকে কেন দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। গ্রামের গরিব মানুষের কীভাবে তা জোগার করবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আবাস প্রকল্পের বাড়ির পাকা ছাদ চাই
সুজন চক্রবর্তী বলেন কেন্দ্রীয় হোক আর রাজ্য সব আবাস প্রকল্পের বাড়িই আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব বাড়ির পাকা ছাদের দাবি করেছেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, তা যদি না হয়, বারে বারে ভাঙবে আর বারেবারে লুট হবে।
আয়লার বাঁধের টাকা কোথায়
রাজ্যপালের কাছে বাম পরিষদীয় দল প্রশ্ন করেছে আয়লার বাঁধের টাকা কোথায়। কারা সেই টাকা মারল। তাঁর অভিযোগ এই সরকারের আমলে টাকা লুট হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, আয়লার পাকা বাধ যেখানে রয়েছে সেখানে সুরক্ষিত, কিন্তু যেথানে নেই, সেখানেই বিপর্যয় নেমে এসেছে।
২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতে ছাড় দেওয়ার দাবি
অন্তত ছয়মাসের জন্য ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতে ছাড় দেওয়ার দাবি করা হয়েছে বাম পরিষদীয় দলের তরফ থেকে।
আনলক নিয়ে চূড়ান্ত অসতর্কতা
সুজন চক্রবর্তী বলেন লকডাউন আর আনলক নিয়ে চূড়ান্ত অসতর্কতা চলছে। যে কোনও সময় বড় বিপদ পশ্চিমবঙ্গে অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। পরিযায়ীদের টেস্ট থেকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন, কিচ্ছু করছে না সরকার। সব ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সরকারের কাছে বিষয়টি নিয়ে ব্লকস্তর পর্যন্ত সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চৈনিক আস্ফালনের সামনে চোখে চোখ রেখে লড়ছে ভারত! কূটনৈতিক 'গ্রাউন্ড জিরো' কী বলছে