তৃণমূল কংগ্রেস শত্রু, কিন্তু বিজেপিই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী! কংগ্রেসকে নিয়ে বামেদের অভিযান শুরু
সিপিএম তথা বামেরা প্রথম থেকেই মনে করে তৃণমূলের পক্ষ বিজেপিকে ঠেকানো সম্ভভ নয়। বিজেপিকে ঠেকাতে পারে একমাত্র বামেরাই। তাই রাজ্যে বিজেপিকেই প্রধান শত্রু বলে মনে করছে তারা।
সিপিএম তথা বামেরা প্রথম থেকেই মনে করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ বিজেপিকে ঠেকানো সম্ভব নয়। বিজেপিকে ঠেকাতে পারে একমাত্র বামেরাই। তাই রাজ্যে বিজেপিকেই প্রধান শত্রু বলে মনে করছে তারা। বামফ্রন্ট মনে করে, তৃণমূলই বিজেপিকে বাংলায়ে নিয়ে এসেছে। তাই বাংলা থেকে বিজেপিকে হটাতে গেলে আগেই তৃণমূলকে হারাতে হবে।
বাম-কংগ্রেস প্রধান শত্রু হিসেবে বেছে নিল বিজেপিকে
বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিনই সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বিজেপি ও তৃণমূলকে এখনই বন্ধনীতে রেখে নিশানা করেছিলেন। এবার বাম-কংগ্রেস যৌথভাবে পথে নেমে প্রধান শত্রু হিসেবে বেছে নিল বিজেপিকে। বিমান বসুর কথায়, বিজেপি থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না। বাম-কংগ্রেস যৌথ মঞ্চ এদিন মোদী-যোগী জমানাকে বর্বরদের রাজত্ব বলে আখ্যা দেন।
বিজেপিকে আটকাতে পারে একমাত্র সিপিএম
একদিন আগেই সূর্যকান্ত বলেছিলেন, এ রাজ্যে বিজেপিকে এনেছে তৃণমূল। এই তৃণমূলই দায়ী রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য। এরা থাকলে বিজেপিকে হটানো যাবে না। বিজেপিকে হটানোর ক্ষমতা মমতা বন্যোন্পাধ্যায়ের নেই। তা থালে নবান্ন থেকে পালিয়ে যেতেন না তিনি। বিজেপিকে আটকাতে পারে একমাত্র সিপিএম তথা বামফ্রন্ট।
কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বামেরা
আর তার পরেই এদিন কংগ্রেসকে সঙ্গে করে বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন। উত্তরপ্রদেশের হাথরাস-কাণ্ডসহ দেশজুড়ে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সরব হয়ে যোগী আদিত্যনাথের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। একইসঙ্গে পা মেলালেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, আবদুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তীরা। বাম-শরিক ও সহযোগী দলের নেতারাও ছিলেন এই মিছিলে।
তৃণমূলকে ছাপিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ
তৃণমূলকে ছাপিয়েও এদিন বাম-কংগ্রেস বেশি আওয়াজ তোলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপিই যে এই নবাংলায় সবথেকে ভয়ঙ্কর শক্তি তা জানিয়েই বাম-কংগ্রেস দাবি করে বিজে্পিকে আটকাতে হবে। তার জন্যই যৌথ মঞ্চ গড়ে এই বাংলায় ক্ষমতায় আসতে হবে। তৃণমূলকে হারিয়ে এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের সরকারই পারবে বিজেপিকে আটকাতে।