ধর্মঘটের জেরে কলকাতায় ব্যাহত যান চলাচল, বাম মিছিলে অবরুদ্ধ মৌলালি চত্বর
ধর্মঘটের জেরে কলকাতায় সকাল থেকে ব্যাহত যান চলাচল। এন্টালি বাজার, মৌলালি এবং মল্লিক বাজার চত্বরে পথ অবরোধের জেরে যান চলাচল সম্পূর্ণ স্তব্ধ। সকালে যাদবপুর এলাকায় মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে মৌলালিতে চলে আসেন সুজন চক্রবর্তী। ছিলেন সতরূপ ঘোষ। এদিকে মোলালির মিছিলে পা মেলান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও।
রাস্তায় বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা
লেকটাউন যশোর রোডে বামেদের পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ করা হয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বাম কর্মীদের। এরপর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বসে পড়েন। বিক্ষোভকারীরা দুই দফায় বিক্ষোভ অবরোধ হকরেন। পরবর্তীতে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। এদিকে যাদবপুর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করল বনধ সমর্থকরা। ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে তারা। দলীয় পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় বাম ও কংগ্রেস সমর্থকদের।
টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ
এদিকে উত্তর কলকাতার সেন্ট্রাল এভিনিউ মোড়ে সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা ধর্মঘটকে সমর্থন জানাতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করলেন। এদিন সিপিআইএম নেতা কর্মীদের তরফে দাবি তোলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে একজোট হতে হবে দেশের সাধারণ মানুষকে।
জোর করে দোকান বন্ধের চেষ্টা
মিছিল থেকে জোর করে দোকান বন্ধের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এরপর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ করে গাড়ি থামিয়ে বনধ সফল করার মরিয়া প্রয়াস। আর তা ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে বারাসতের কলোনি মোড় ও হেলাবটতলা মোড়ে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ কিছুই বাদ গেল না।
বনধ সমর্থককারীদের তাড়া করে লাঠিপেটা
রীতিমতো বনধ সমর্থককারীদের তাড়া করে লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর। একপ্রকার লাঠিপেটা করে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বনধ সমর্থককারীরা।