বিপদের নাম বিজেপি! প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে গিয়ে ‘গান্ধী-স্মরণে’ সিপিএম ও বাম শরিকরাও
রাজ্যে বড় বিপদ হয়ে দেখা দিতে চলেছে বিজেপি। তারপর ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। দুই শক্তিধর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জোট গড়তে আরও এক পা এগলো বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।
রাজ্যে বড় বিপদ হয়ে দেখা দিতে চলেছে বিজেপি। তারপর ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দুই শক্তিধর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জোট গড়তে আরও এক পা এগলো বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। সেই জোট প্রক্রিয়ায় আর কোনও ফাঁক রাখতে চান না বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই কংগ্রেসের আমন্ত্রণ ফেরাতে পারলেন না, প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে হাজির হলেন বামনেতারা
প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে বামেরা
গান্ধীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে ছবি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে বাংলার বামনেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সেই আমন্ত্রণ পেয়ে বিমান বসু থেকে শুরু করে সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ অন্যান্য শরিক দলের নেতারাও হাজির হন প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে।
বাংলার রাজনীতিতে এক মাইলফলক
বিধানভবনে কমিউনিস্ট নেতাদের আগমন বাংলার রাজনীতিতে এক মাইলফলক হয়ে রইল এদিন। শুধু যে প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে গান্ধী-প্রদর্শনী দেখতে এলেন তা নয়, সোমেন মিত্রের আহ্বান চা-চক্রেও অংশ নেন। এই প্রথম প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে মিলিত হলেন উভয় দলের নেতৃত্ব। একইসঙ্গে বার্তা দিলেন একসঙ্গে চলার।
একসঙ্গে লড়ার সময় হয়েছে এবার
বিমান বসু বলেন, দেশকে বাঁচাতে একসঙ্গে লড়ার সময় হয়েছে। শুধু সিপিএম নয়, অন্যান্য বাম শরিকরাও বিধানভবনে গিয়েছিলেন। সেখানে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি তাঁরাও একসঙ্গে চলার বার্তা দেন। এমনকি হাত ধরতে যে বাম শরিকের সবথেকে বেশি আপত্তি ছিল, সেই ফরওয়ার্ড ব্লকও এদিন স্বীকার করে নেন একসঙ্গে চলাটা জরুরি।
এককালে যাঁর ছিল প্রবল প্রতিপক্ষ
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের প্রদেশ কংগ্রেসের অফিসে উপস্থিতি এদিন বাংলার রাজনীতিতে অন্য মাত্রা এনে দিল। এককালে যাঁর ছিল প্রবল প্রতিপক্ষ, তাঁরাই এখন অস্তিত্বের লড়াইয়ে হাত ধরে চলতে চাইছে। চাইছে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে বিজেপি ও তৃণমূলকে যোগ্য জবাব দিতে।
জোট গড়ার মাঝেই কাছাকাছি
সম্প্রতি কংগ্রেস ও সিপিএম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, উপনির্বাচনগুলিতে একসঙ্গে লড়াই করার। সবকটি উপনির্বাচনেই জোট প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা। তারপর কলরকাতা পুরসভা নির্বাচনেও জোট গড়ে লড়াই করতে তারা উৎসুক। সেই কথাবার্তাও চলছে।
মহা লড়াই ২০২১-এ
আর মহা লড়াই ২০২১-এ। যেখানে শাসক তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে বিজেপি। বিজেপি রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছে ইতিমধ্যেই। এই অবস্থায় নিজেদের হারানো গৌরব ফিরে পেতে জোট বেঁধে লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখছে বাম-কংগ্রেস। বাম ও কংগ্রেস মনে করে বিজেপি ও তৃণমূল উভয়েই হানিকর। তাই উভয়কেই বিদায় দিতে হবে। তার জন্যই এই জোট বাঁধা।
[মোদীকে বাদ দিয়ে মনমোহনকে আমন্ত্রণ করতারপুর করিডরের উদ্বোধনে]
[জামিন নাকোচ চিদাম্বরমের, সাক্ষীদের প্রভাবিত করার যুক্তিতে খারিজ আবেদন]