আরএসপি-র বর্ধমান জেলা সম্পাদক বিজেপি-তে, নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ
অঞ্জনবাবু দীর্ঘদিন আরএসপি-র বর্ধমান জেলা সম্পাদক ছিলেন। কয়েক বছর আগেও তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি-র বিরুদ্ধে সমান উৎসাহে লড়েছেন। কিন্তু লোকসভা ভোটে বামেদের চরম বিপর্যয়ের পর আস্তে আস্তে অবস্থান বদলাতে শুরু করেন তিনি। বর্ধমান জেলায় বিভিন্ন এলাকায় শাসক দল বাম কর্মী-সমর্থকদের নিগ্রহ করছে, এ খবর জানান উচ্চতর নেতৃত্বকে। অভিযোগ, বামফ্রন্ট তথা আরএসপি কোনও সহায়তাই করেনি। অনুগামীরা তাই বারবার অঞ্জনবাবুকে বিকল্প ভাবতে অনুরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত জান-মান বাঁচাতে অনুগামীদের নিয়ে গতকাল অর্থাৎ সোমবার যোগ দেন বিজেপি-তে।
তিনি বলেছেন, "বর্ধমান জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচার চরমে উঠেছে। সব জায়গায় বামফ্রন্ট কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। বামফ্রন্টের যে ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল, তা তারা নেয়নি। সিপিএম হোক কিংবা আরএসপি, জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সারদা কেলেঙ্কারি, টেট দুর্নীতি নিয়ে তাই এরা গণআন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে।"
কিন্তু অন্যান্য দলও তো ছিল? বিজেপি-তে এলেন কেন? অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব, "দেশে উন্নয়নের বার্তা দিয়েই লোকসভা ভোটে ঝড় তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আটটি দেশের রাষ্ট্রনায়কদের। বোঝা যাচ্ছে, তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চান। মুসলিমদের উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছেন। অর্থাৎ তিনি সাম্প্রদায়িক, এই প্রচার পুরোপুরি মিথ্যা। তাই দেশের স্বার্থে তাঁকেই সমর্থন করা উচিত বলে মনে করছি। ফলে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছি।"
অঞ্জনবাবুকে সাদরে দলে বরণ করে নিয়েছেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) দেবীপ্রসাদ মল্লিক। তিনি আরও জানান, সিপিএম, কংগ্রেস, এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েও অনেকে বিজেপি-তে আসতে চাইছেন। সবার নাম এখনই প্রকাশ করা যাবে না নিরাপত্তার খাতিরে। ২০১৬ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি বর্ধমান জেলায় চমকপ্রদ ফল করবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।