নির্বাচন নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হোক! করোনা নিয়ে সর্বদল বৈঠকের দাবিতে কমিশনকে চিঠি বামেদের
২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুর কর্পোরেশন (municipal corporation) ভোট। কিন্তু এই মুহূর্তে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেই পরিস্থিতিতে ভোট করানো নিয়ে বিশেষজ্ঞজের মতামত নেওয়ার দাবি তুলল বামফ্রন্ট (l
২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুর কর্পোরেশন (municipal corporation) ভোট। কিন্তু এই মুহূর্তে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেই পরিস্থিতিতে ভোট করানো নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের (doctors) মতামত নেওয়ার দাবি তুলল বামফ্রন্ট (left front)। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে সর্বদল বৈঠকের দাবি করা হয়েছে।
অবাধ প্রচারের সুযোগ নেই
করোনা পরিস্থিতির জেরে বিভিন্ন জায়গায় কন্টাইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং কর্মীরাও করোনা আক্রান্ত। যার জেরে মানুষের চলাফেরা নিষিদ্ধ। ফলে ৪ পুর কর্পোরেশনের প্রার্থীরা অবাধ প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে কমিশনের তরফেও ৫০০ জনের পরিবর্তে ২০০ জনকে নিয়ে সভা করার কথা বলা হয়েছে। কীভাবে এই পরিস্থিতে ভোট সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া বামফ্রন্টের চিঠিতে।
কমিশনের কাছে দুই দাবি
রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচন করানো নিয়ে অবিলম্বে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হোক। এছাড়াও সর্বদল বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনার দাবিও করা হয়েছে। কেননা ইতিমধ্যেই নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে।
পুরভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হাইকোর্টে
ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতে পুর নির্বাচন স্থগিত রপাখার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে।
বিধিনিষেধের মধ্যেই ভোট হবে, জানিয়েছে কমিশন
রাজ্যের বিরোধী দলগুলি করোনা পরিস্থিতিকে কীভাবে ভোট সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৩ জানুয়ারি জানিয়েছে ভোট হবে ২২ জানুয়ারি। তবে তার জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। রোড শো, মিছিল, বাইক কিংবা সাইকেল র্যালির ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। যা নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূল বলছে, ফলফল কলকাতার মতো হবে, সেই কারণইেই বিরোধীরা নির্বাচনে ভয় পাচ্ছে। পাল্টা বিরোধীরা বলছে, তিন বছর নির্বাচন বন্ধ ছিল সেই সময় নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে কোনও আগ্রহ না থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যকে আরও সংক্রমণের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
২৭ ডিসেম্বর ভোট ঘোষণা করে কমিশন
রাজ্য নির্বাচন কমিশন ২৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করে ৪ পুর নিগম বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং আসানসোলে ভোট নেওয়া হবে ২২ জানুয়ারি। ২৫ জানুয়ারি ফল ঘোষণা করা হবে। সেই মতো মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩ জানুয়ারি। ৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।