সরকারে থাকার যোগ্যতা রয়েছে, প্রমাণ করুক তৃণমূল! বছরের শেষ লগ্নে নিশানা বাম কংগ্রেসের
সরকারের বিরুদ্ধে বিধানসভাকে (assembly) এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলল রাজ্যের বাম ও কংগ্রেস জোট ( Left and Congress )। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ তোলেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান (abdul mannan) এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan chakraborty)। সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আস্থা ভোটের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

বিধানসভায় আস্থা ভোটের দাবি
তৃণমূলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির দাবি অনুযায়ী অনেকেই রয়েছেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বাম-কংগ্রেস জোট। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে, এদিন দাবি করেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করুক সরকার। তাঁদের অভিযোগ বিধানসভাকে এড়িয়ে যাচ্ছে সরকার।

তারা অনাস্থা আনছেন না
আব্দুল মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তী জানান, তাঁরা আস্থা ভোটের দাবি জানালেও সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছেন না। তবে তাঁদের মতে বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত আস্থা ভোটে যাওয়া। তাঁরা বলেন, স্পিকার, সরকার কিংবা মুখ্যমন্ত্রী চাইলেন আস্থাভোটের ব্যবস্থা হতে পারে। তাঁরা তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, যেভাবে ঘাসফুল শিবিরে জন প্রতিনিধিরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাতে গোপন ব্যালটে ভোট হলে, সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকট হয়ে উঠতে পারে।

আস্থায় জিতে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনুক সরকার
বাম ও কংগ্রেস নেতা বলেন, বিধানসভায় প্রথমে আস্থা ভোটের বন্দোবস্ত করা হোক, আর আস্থা ভোটে জিতে কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করাক সরকার। তাঁরা বলেন, ইতি মধ্যেই বেশ কয়েকটি অবিজেপি সরকার নিজেদের বিধানসভায় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। কৃষি রাজ্যের তালিকা ভুক্ত হওয়ায়, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রক্ষা কবচ তৈরি করতে পারবে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত এদিন কেরল বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে। সেখানকার একমাত্র বিজেপি বিধায়কও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

দাবি বিজেপিকে সাহায্য করবে
রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায় বলেছেন, এই দাবি স্বাভাবিক। তবে বিজেপি বিরোধী হলে তারা এই দাবি করতেন না। দুই দলের এই দাবি বিজেপিকে সাহায্য করবে বলেও মন্তব্য করেছেন তাপস রায়। তিনি আরও বলেন, আস্থা ভোটের দাবি করার আগে বাম ও কংগ্রেসের উচিত রাজ্যের মানুষের আস্থা তাদের ওপরে কতটা সেটা যাচাই করে নেওয়া।

ভেসে থাকতে চাইছে বাম ও কংগ্রেস
অন্যদিকে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, এই দাবির মাধ্যমে রাজ্য রাজনীতি অপ্রাসঙ্গিত হয়ে পড়া বাম ও কংগ্রেস ভেসে থাকতে চাইছে। তিনি বলেন কিছুদিনের মধ্যেই ভোটের ঘোষণা হয়ে যাবে। ভোটের ঘোষণা হয়ে গেলে সরকারের সক্রিয়তাও থাকবে না। তিনি বলেন, বাম ও কংগ্রেস দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিয়ে ভুলিয়ে রাখতে চাইছে।

গরু পাচার কাণ্ডের তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই হানা, অভিষেককে ইঙ্গিত করে চাঞ্চল্যকর টুইট কৈলাশের