আজ লক্ষ্মীপুজো, অগ্নিমূল্য বাজার দরে হাতে ছ্যাঁকা মধ্যবিত্ত গৃহস্থের
কলকাতা, ১৫ অক্টোবর : আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। ধনদেবীর আরাধনায় মেতে উঠতে গিয়ে পকেটে টান পড়ার জোগাড় সাধারণের। পুজোর উপকরণ থেকে শাক-সবজি, ফুল-ফল- সবেরই দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা লাগবেই। তবে সবকিছুকে উপেক্ষা করে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনায় মেতে উঠতে কসুর করছে না বাংলা। হাত পুড়িয়েই কেনাকাটা সারছেন বাঙালি। পকেট গড়ের মাঠ হলেও কোথাও খামতি নেই লক্ষ্মীপুজোর উপাচারে।
দুর্গোৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো চন্দ্রালোকিত রাত হাজির হয়ে যায়। তড়িঘড়ি বাংলার ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করতে হয়। সময় না পাওয়া গেলেও প্রতি গৃহে লক্ষ্মীকে এনে আলো করে রাখতে চেষ্টার কসুর থাকে না। আসলে লক্ষ্মী পুজোয় সুযোগ বুঝে কোপ মারেন ব্যবসায়ীরা। শুধু কলকাতা কেন, জেলার বিভিন্ন সবজি-ফুল-ফলের বাজার আগুন।
ক'দিন আগে দুর্গা পুজোতেও যে শসা বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা কিলো দরে, তা-ই এখন দাঁড়িয়েছে ৫০-৬০ টাকা। অন্যান্য ফলের দামও মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে মাত্র দু-তিনদিনের ব্যবধানে। লক্ষ্মীপুজোয় খিচুড়িভোগ এক প্রধান উপরকণ। সেই ভোগের সামগ্রীও অগ্নিমূল্য। ফুলকপির খুচরো দর উঠেছে ৬০-৭০ টাকা। বাঁধাকপির দর উঠেছে ৩৫-৪০ টাকা। বেগুনের কিলোও চড়েছে ৫০-৬০ টাকা। খই ও মুড়কিরও দাম চড়েছে। নারকেল ছাড়া নাড়ু হয় না। তাই সেই নারকেলের দামও বেড়ে গিয়েছে লক্ষ্মীপুজোর আগে। এক-একটি নারকেল বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা দরে।
ফুল ছাড়া পুজো অসম্ভব। উৎসবের মরশুমে এমনিতেই ফুলের দাম বাড়া৷ তার উপর দুর্গাপুজো চলাকালীন বর্ষার প্রকোপ তো ছিলই। সব মিলিয়ে ফুলের বাজারে হাতে ছ্যাঁকা লাগবেই মধ্যবিত্তের৷ দুর্গাপুজোর আগেও ফুলের যা দাম ছিল, লক্ষ্মীপুজোয় তা চারগুণ বেড়ে গিয়েছে৷ সমৃদ্ধির দেবীর আরাধনায় গাঁদা হোক বা পদ্ম- হাত দেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গাঁদার মালার দাম ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে৷ দোপাটি, অপরাজিতা, পদ্ম, রজনীগন্ধা- সব ফুলের দাম শুনেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়েছে সাধারণ গৃহস্থের৷