ঘাসফুলের সঙ্গে শুভেন্দুর দূরত্ব বাড়তেই এবার কি শিবির বদল লক্ষ্মণ শেঠের, তৃণমূল নেতার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ নিয়ে জল্পনা
শুভেন্দু সঙ্গে দূরত্ব বা়ড়তেই এবার কি ঘাসফুলে লক্ষ্মণ শেঠ, তৃণমূল নেতার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ নিয়ে জল্পনা
বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল হলদিয়ায় প্রাক্তন সিপিএম নেতা তথা পরবর্তী সময়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া লক্ষ্মণ শেঠ (laxman seth) তৃণমূল নেতাদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। এবার তাঁকে দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (kunal ghosh) সঙ্গে একই মঞ্চে। অরাজনৈতিক মঞ্চ হলেও, লক্ষ্মণ শেঠের মুখে ছিল কেন্দ্র বিরোধী কথা।
লক্ষ্মণ শেঠের তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থান
এদিন লক্ষ্মণ শেঠকে দেখা গিয়েছে একটি অরাজনৈতিক মঞ্চে। হলদিয়ায় হওয়া ক্ষুদিরাম বসু জন্মদিবস উপলক্ষে হওয়া সেই অনুষ্ঠানে লক্ষ্মণ শেঠের পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। তৃণমূল বরাবর অভিযোগ করে এসেছে লক্ষ্মণ শেঠ নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পিছনে রয়েছেন। এদিন সেই লক্ষ্মণ শেঠকে তৃণমূল নেতার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। যদিও লক্ষ্মণ শেঠ বলে অন্য কথা। তিনি বলেছেন কোনও সময় সুযোগ আসলে বিষয়টি নিয়ে তিনি বিস্তারিত বলবেন।
কুণাল ঘোষের ঘোষের সাফাই
এদিন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ বলেছেন, লক্ষ্মণ শেঠ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তিনি অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। তবে কুণাল ঘোষ এদিন আরও জানিয়েছেন, লক্ষ্মণ শেঠ দাবি করেছেন নন্দীগ্রাম কাণ্ডে তাঁর কোনও ভূমি,কা ছিল না। শিল্পায়ন দেখানো মরিয়া প্রচেষ্টার ফলেই সেই ঘটনা ঘটেছিল বলে নাকি লক্ষ্মণ শেঠ দাবি করেছেন। তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ নাকি আরও দাবি করেছেন, দলের নির্দেশে, তাঁর কাধে বন্দুক রেখে যাবতীয় কাজ করা হয়েছিল।
শুভেন্দু বাধাতেই তৃণমূলে স্থান পাননি
শোনা যায়, সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পরেই তিনি প্রথম টার্গেট করেছিলেন তৃণমূলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীর বাধার ফলেই তাঁর তৃণমূলে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছিলেন, কোনও হার্মাদকে দলে জায়গা দেওয়া হবে না। আর এখন শুভেন্দু তৃণমূলের থেকে দূরত্ব বাড়াতেই লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে, বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পর বিভিন্ন দলে ঘুরেছেন লক্ষ্মণ শেঠ
২০১৪ সালে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ লক্ষ্মণ শেঠকে সিপিএম বহিষ্কার করেছিল। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা যেমন তিনি করেছিলেন, অন্যদিকে বিমান বসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সমালোচনাও তিনি করেছিলেন। পরে তিনি ভারত নির্মাণ মঞ্চ তৈরি করেন। সুবিধা করতে না পেরে তিনি ২০১৬-তে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর গতবার লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তমলুক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে জানা গিয়েছিল সেই সময় লক্ষ্মণ শেঠে কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে ছিলে আব্দুল মান্নান।
মতুয়াদের দেওয়া কোনও কথাই রাখেনি বিজেপি! 'বিক্ষুব্ধ’ শান্তনুকে তৃণমূলে ডাক জ্যোতিপ্রিয়র