বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ‘অপদার্থ’ মুখ্যমন্ত্রী বলে কটাক্ষ প্রাক্তন সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে অপদার্থ শাসক বলে কটাক্ষ করলেন একদা তাঁর দলেরই সৈনিক লক্ষ্মণ শেঠ।
পূর্ব মেদিনীপুর, ৬ মার্চ : রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে অপদার্থ শাসক বলে কটাক্ষ করলেন একদা তাঁর দলেরই সৈনিক লক্ষ্মণ শেঠ। বর্তমানে বিজেপির ছত্রছায়ায় থাকা এই নেতা দলীয় সভা থেকে বুদ্ধদেবকে আক্রমণ করে বলেন, তাঁর অপদার্থতার জন্য সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে নৈরাজ্য চালানোর সুযোগ পেয়েছিল তৃণমূল। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অপদার্থতার জন্যই আজ ক্ষমতায় আসতে পেরেছে মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুদ্ধবাবুকে চূড়ান্ত ব্যর্থ বলে ব্যাখ্যা করেন লক্ষ্মণ শেঠ। শাসক হিসেবে তিনি বিরোধীদের মোকাবিলা করতে পারেননি। তিনিই তৃণমূলকে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই বুদ্ধবাবুর ব্যর্থতায় যে ফাঁক তৈরি হয়েছিল সিপিএম তথা বামফ্রন্টে। সেই ফাঁক দিয়ে ঢুকেই তৃণমূল সিঙ্গুর আন্দোলনকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্তি করে ফেলেছে।
সিঙ্গুরের আন্দোলনকে ইতিহাসে অন্তর্ভুক্তির কড়া সমালোচনাও এদিন শোনা যায় লক্ষ্মণ শেঠের মুখে। তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, এই ইতিহাস পড়লে রাজ্যের শিল্পায়ন সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। নোট বাতিল থেকে শুরু করে একশো দিনের কাজে তৃণমূল সরকারের ভূমিকারও কঠোর সমালেচনা করেন বিজেপি নেতা।
তিনি বলেন, রাজ্যের গরিব মানুষের উপর নোট বাতিলের কোনও প্রভাব পড়েনি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দাবি জানিয়েছিলেন একশো দিনের কাজের টাকা বেনিফিসিয়ারির অ্যাকাউন্টে দেওয়ার জন্য। এখন কেন্দ্রীয় সরকার তা করায় বিরোধিতা করছে তৃণমূল।