লাভপুরে ৩ সিপিএম কর্মী হত্যা মামলা 'আইনের পথে'! মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
লাভপুরে ২০১০ সালে ৩ সিপিএম কর্মীর হত্যার মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম ঢুকেছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। এছাড়াও নাম রয়েছে মনিরুল ইসলামের।
লাভপুরে ২০১০ সালে ৩ সিপিএম কর্মীর হত্যার মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম ঢুকেছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। এছাড়াও নাম রয়েছে মনিরুল ইসলামের। বিজেপির তরফে একে কটাক্ষ করা হলেও, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, আইন আইনের পথেই চলবে।
২০১০-এর ৪ জুন খুন ৩ সিপিএম কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। তিন ভাই, তরুক শেখ, ধানু শেখ, কুটুন শেখকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল মনিরুল বাহিনীর বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে সাঁইথিয়ায় এক জনসভায় মনিরুল ইসলাম তিনভাইকে পিষে মারার কথা বলেছিলেন।
২০১০-এ বর্তমান লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম ছিলেন লাভপুরে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা। তিনিই সালিশি সভা ডেকে খুন করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরেই মনিরুল ইসলামকে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি তৃণমূলের যোগ দিয়ে, বিধায়ক হন।
এই
মামলায়
২০১৪
সালে
৫২
জনের
নামে
চার্জশিট
জমা
দিয়েছিল
পুলিশ।
তাতে
অবশ্য
মনিরুল
ইসলামের
নাম
ছিল
না।
তিনজনের
দাদা
প্রথমে
এই
ঘটনায়
মামলা
করেওো
তুলে
নিয়েছিলেন।
তখন
অভিযোগ
ওঠে
মনিরুল
বাহিনীর
চাপেই
তিনি
মামলা
তুলে
নিয়েছেন।
এরপর
মৃতদের
মা
মামলা
করেন।
সেই
মামলা
গড়ায়
হাইকোর্টে।
তিনমাসের
মধ্যে
সাপ্লিমেন্টারি
চার্জশিট
জমা
দেওয়ার
নির্দেশ
দিয়েছিল
হাইকোর্ট।
৪
ডিসেম্বর
বোলপুর
আদালতে
সাপ্লিমেন্টারি
চার্জশিট
জমা
পড়ে।
বিজেপি
অবশ্য
এই
সাপ্লিমেন্টারি
চার্জশিটকে
কটাক্ষ
করেছে।
তাদের
মতে
তৃণমূলে
থাকলেই
ভাল,
আর
তৃণমূল
থেকে
বেরিয়ে
এলেই
খারাপ।
লাভপুর মামলা নিয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। তবে হাইকোর্টে মামলাকারী নিহতদের মা মনিরুল ইসলামের নাম চার্জশিটে থাকায় খুশি। তবে মুকুল রায়ের নাম চার্জশিটে থাকা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি বলেই জানা গিয়েছে।