কাশ্মীরে ফিঁদায়ে হামলার রোডম্যাপ তৈরি লস্কর-জইশের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট গোয়েন্দাদের
একযোগে দুই জঙ্গি সংগঠন ফিঁদায়ে হামলার ছক কষছে। আর তাঁদের সফট টার্গেট ভারত। পাকিস্তানে সক্রিয় দুই জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদ যৌথভাবে এই পরিকল্পনা চালাচ্ছে।
একযোগে দুই জঙ্গি সংগঠন ফিঁদায়ে হামলার ছক কষছে। আর তাঁদের সফট টার্গেট ভারত। পাকিস্তানে সক্রিয় দুই জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদ যৌথভাবে এই পরিকল্পনা চালাচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। আর এই গোয়েন্দা-রিপোর্টের পরই ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে সতর্ক করেছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পরও সমানে জঙ্গি নিশানায় সন্ত্রস্ত হচ্ছে ভূ-স্বর্গ। যে কোনও মুহূর্তে ভারতের অন্য কোনও শহরও যে টার্গেট হতে পারে, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে জঙ্গিরা। এই আতঙ্কের মধ্যে গোয়েন্দা রিপোর্ট ভীতি ছড়াল। গোয়েন্দাদের মতে, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীর স্বাভাবিক হয়ে গেলে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। সেই আশঙ্কা থেকেই এই হামলার ঘটনা ঘটছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে লস্কর ও জইশ দফা দফায় হামলার ছক কষছে। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। জইশ জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে। শীত নামের আগেই ভারতে প্রবেশ করতে তারা বদ্ধপরিকর। কারণ ১৫ নভেম্বরের পর থেকে আর কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে অতিরিক্ত বরফ ভেদ করে অনুপ্রবেশ সম্ভব নয়।
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরে ফিদায়েঁ হামলার রোডম্যাপ তৈরি করে ফেলেছে জইশ। লস্করও হাত মিলিয়েছে জইশের সঙ্গে। উভয়েই একযোগে হামলা চালাতে পারে। কখনও পৃথকভাবে হামলাও চালাতে পারে। মোট কথা কাশ্মীরকে সন্ত্রস্ত করে রাখাই উদ্দেশ্য জঙ্গি সংগঠনগুলির। এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কী ব্যবস্থা নেয়, তাই দেখার।