ফের পাহাড়ে একাধিক রাস্তায় ধস, বিপাকে পড়ে পর্যটকরা গৃহবন্দি
শিলিগুড়ি, ১৫ অক্টোবর : ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আবারও ধসে বিপর্যস্ত পাহাড়। এবার কার্শিয়ং শহরের পাশে রেললাইনে ধসে পড়ল বোল্ডার। দার্জিলিং যাওয়ার পথে বারিকেও ধস নেমেছে। ফের ধস নেমে তলিয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের তিন ফুট রাস্তা। বিপর্যস্ত যান চলাচল। আবারও বিপাকে পর্যটকরা। আটকে গিয়েছেন পাহাড়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটলেও তাই পাহাড় থেকে সমতলে নামতে পারছেন না পর্যটকরা।
শুক্রবার সকাল থেকে ফের ধস নামতে শুরু করে। কার্শিয়ং শহরের জিরো পয়েন্টে থেকে শুরু করে দার্জিলিং, কালিঝোরার কাছেও নতুন করে ধস নামতে থাকে। গত তিন-চারদিন ধরে চলা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে যাওয়াতেই এই ধসের প্রবণতা বলে মনে করা হচ্ছে। ধসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টয় ট্রেনের লাইন। ব্যাহত হয়েছে ১০ নম্বর ও ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের যান চলাচল।
তবে এই ধসের জেরে টয় ট্রেন পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ, ধসের জন্যই গত ৫ জুলাই থেকে কার্শিয়াং-নিউ জলপাইগুড়ি এবং কার্শিয়ং-শিলিগুড়ি রুটে টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এখন শুধুমাত্র দার্জিলিং-কার্শিয়ং রুটে টয় ট্রেন চলছে। ওই লাইনে কোনও সমস্যা হয়নি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালিঝোরার কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বড়সড় ধস নামে। রাস্তায় প্রায় ১৪ ফুট অংশ নেমে যায় নদীতে।
শিলিগুড়ি থেকে ডুয়ার্স ও কালিম্পং, সিকিমের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পাহাড়ের জনজীবন। দ্রুত মেরামতি শুরু হলেও একটানা বৃষ্টিতে বিঘ্নিত হয় কাজ। একদিন আগে আবহাওয়ার পরিবর্তনে আটকে পড়া পর্যটকরা নামতে শুরু করে। তারপরেই ফের বিপত্তি। দুর্যোগ কমলেও নতুন করে ধস নামায় বিপাকে পাহাড়বাসী, বিপাকে পর্যটকরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করে পর্যটদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।