কোন দলে সিপিএমের প্রাক্তনী লক্ষ্মণ শেঠ, উদারতার বার্তায় সাফ করলেন নিজেই
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকূলে প্রশাসনিক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন, নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের পিছনে যিনি আছেন, তাঁর কোনও ঠাইঁ নেই তৃণমূলে।
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকূলে প্রশাসনিক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন, নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের পিছনে যিনি আছেন, তাঁর কোনও ঠাইঁ নেই তৃণমূলে। নাম না করেই লক্ষ্মণ শেঠকে দিয়েছিলেন চরম বার্তা। সেই বার্তার পরও তিনি যে হাল ছাড়েননি, তা স্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়ে দিলেন জনপ্রিয় এক নিউজ চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে।
কোন দলে, সাফ করলেন তিনি
তিনি কোন দলে যোগ দেবেন, তা খোলাখুলিই জানিয়ে দিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁর স্পষ্ট কথা, তৃণমূলেও যেতে চাই, কংগ্রেসে যেতেও আপত্তি নেই। দলহীন লক্ষ্মণ শেঠ মনে করেন, দুই দলই আমার কাছে সমান গুরুত্ব রয়েছে। তৃণমূলের কেউ কেউ আমাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন, তা বলে তার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তা তিনি মনে করেন না।
খলনায়ক তকমা চাপিয়ে দেওয়া
মমতা বলেছেন, নন্দীগ্রামে কীসের সূর্যোদয় হয়েছিল? তা আমরা ভুলিনি। ভুলিনি নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর নেপথ্য খলনায়কদেরও। এ প্রসঙ্গে লক্ষ্মণের সাফ জবাব, নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের জন্য দায়ী তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও তার প্রশাসন। আর আমার উপর নন্দীগ্রামকাণ্ডের খলনায়ক তকমা তো মিডিয়ার চাপিয়ে দেওয়া।
নন্দীগ্রামের ব্যাখ্যায় লক্ষ্মণ শেঠ
লক্ষ্মণ শেঠ বলেন, তখন আমি সিপিএম করতাম। মনে রাখতে হবে নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে কিন্তু সিপিএমের ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর তৃণমূলের ১৪ জন মারা গিয়েছিল। তাঁরাই এখন শহিদ দিবস পালন করছে। আর এই ঘটনায় মাওবাদী যোগ তো ছিলই, তার বহু প্রমাণও রয়েছে।
বিজেপির প্রাক্তনী পরিচয়েও আপত্তি
তবু তিনি তৃণমূলে যেতে চান, কংগ্রেস ডাকলে কংগ্রেসে। আর এখনও নিজেকে সিপিএমের প্রাক্তন ভাবতেই বেশি পছন্দ করেন। বিজেপির প্রাক্তনীতেও তাঁর আপত্তি রয়েছে। কেননা, বিজেপিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তার বড় ভুল বলেই তিনি আবারও ব্যাখ্যা করেন। বিজেপি সবাইকে নিয়ে চলতে যানে না, রাম-রহিমে সর্বদা ভেদাভেদেই ব্যস্ত।
শুভেন্দুকে উদারতার বার্তা
তবে তাঁর শুভেন্দু অধিকারীর পাশে বসতে, তাঁর বাড়িতে যেতে আপত্তি না থাকলেও, একদা প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারীর যে তাঁকে নিয়ে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে, তা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ নিজেই। আর সেইসঙ্গে বলেছেন, এটুকু উদারতা না থাকলে রাজনীতি করা যায় না। উল্লেখ্য, শুভেন্দু সরাসরি না করে দিয়েছিলেন লক্ষ্মণকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিয়েছেন চরম বার্তা। বাজকূলের সভা থেকে তিনি চূড়ান্ত জবাবও পেয়ে গেছেন। তারপরও লক্ষ্মণ শেঠ আশাবাদী।