লক্ষ্মীপুজোর বাজার আগুন, মাথায় হাত মধ্যবিত্তদের
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। উৎসবের শেষ নেই, ভাঁটা নেই আনন্দেরও।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। উৎসবের শেষ নেই, ভাঁটা নেই আনন্দেরও। সেই আনন্দেই বাঁধ সাধছে দ্রব্যমূল্য। একদিকে যেমন পকেট ফাঁকা আপামর বাঙালির অন্যদিকে জিনিসপত্রের দাম যেভাবে লাফিয়ে বেড়েছে তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্ত বাঙালির।
দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই চলে এলো কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। তাই ঘরে ঘরে ধন দেবীর আরাধনারই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ফুল ফল ও সবজির বাজার দর হেরফের হয়ে থাকে প্রতি বছরই। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার যেন একটু বেশি। এমনটাই বক্তব্য ঘুরে ঘুরে বাজার করা পোক্ত বাজারীদের। ফলের সাথে সবজির বাজারও অগ্নিমূল্য।
ফলের বাজার নিয়ে কার্যত সন্তুষ্ট হলেও তবে ফুল বা সবজি কিনতে জোরদার তরজা চলছে ক্রেতা বিক্রেতার। ফলে দাম যে লাফিয়েই বাড়ছে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় মধ্যবিত্তের ওপর লক্ষ্মীদেবী খুব একটা অসন্তুষ্ট নন বলেই মনে করছেন ক্রেতাদের একাংশ। বছরের সাধারণ দিনের তুলনায় লক্ষ্মীপুজোর মরসুমে বাজারের আগুন দাম না হলেও স্বভাবতই কিছুটা বেড়েছে ফলের দাম। যদিও ক্রেতাদের বক্তব্য আগের বছর বা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় ফলের দামের হেরফের হয়েছে মাত্র ২ থেকে ৫ শতাংশ। যাকে কার্যত সামান্য বলেই মনে করছেন ক্রেতা বিক্রেতা উভয় পক্ষই।
বড় বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্যের কথায়, 'পুজোর আগে দামেরএকটু হেরফের তো হয়েই থাকে, আগে যত জন লোক যত পরিমাণ কেনাকাটা করত, এখন লোক সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি কিন্তু প্রত্যেকেই দু-একটা পিস করে প্রয়োজন মতো ফল কেনেন। কাজেই লোক সংখ্যা বাড়লেও পরিমাণে বিক্রি-বাট্টা খুব বেশি বাড়েনি তাই একেবারে নিচ থেকেই জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে। লক্ষ্মীপুজোর পর কিছুটা স্বাভাবিক হবে বাজার মূল্য। ফের দাম বাড়বে কালীপুজো, ভাইফোঁটার সময়, এমনটাই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী।
তবে এক ক্রেতার বক্তব্য, অগ্নিমূল্য ফলের বাজার, ১০০০ টাকাতেও ব্যাগভর্তি হচ্ছে না। দিন দিন দাম বাড়তেই। সবমিলিয়ে দাম যতই বাড়ুক না কেন চলছে বিকিকিনি।
এক ঝলকে দেখে নিন দাম
সবজি
চন্দ্রমুখী আলু- ২২টাকা/কেজি
পেঁয়াজ - ৪৫-৫৫ টাকা/কেজি
ফুলকপি-৩৫-৪০টাকা/পিস
বাঁধা কপি -৩০-৩৫
পটল- ৮০টাকা/কেজি
কুমড়ো- ৩০ টাকা/কেজি
গাজর- ১৫০ টাকা/কেজি
ক্যাপসিকাম- ১৮০-২০০ টাকা/কেজি
টমেটো- ৫০-৮০ টাকা/কেজি
শসা- ৬০-৭০টাকা/কেজি
ফল
আপেল ৮০-১২০টাকা কেজি
নারকেল- ৪০-৮০ টাকা/পিস
নাসপাতি- ১০০-১২০টাকা/কেজি
পানিফল-৬০-৮০ টাকা/কেজি
আঙুর- ২৫০ টাকা কেজি
বেদানা- ১০০-১২০ টাকা/কেজি
মুসম্বি লেবু- ৮০-১১০ টাকা/কেজি