বাংলা পেয়ে গেল নতুন রাজ্যপাল, মমতার উপস্থিতিতে শপথ নিলেন রাজভবনে
বাংলা পেয়ে গেল নতুন রাজ্যপাল, মমতার উপস্থিতিতে শপথ নিলেন রাজভবনে
বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন লা গণেশন। বাংলার রাজ্যপাল পদ থেক ইস্তফা দিয়ে জগদীপ ধনখড় ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ-র প্রার্থী হয়েছেন। মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশনকে তাই জরুরি ভিত্তিতে বাংলার বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হল। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি রাজভবনে রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
২০১৯-এর জুলাইয়ে রাজ্যপাল হিসেবে বাংলার দায়িত্বভার নিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। শনিবার জাতীয় রাজনীতি ও বঙ্গ রাজনীতিতে চমক দিয়ে তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপি তথা এনডিএ প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর জগদীপ ধনখড় এদিন ইস্তফা দেন রাজ্যপাল পদে। তারপর মনোনয়ন দাখিল করেন উপরাষ্ট্রপতি পদে।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফার পরই বাংলার নতুন রাজ্যপাল হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশনকে। সেইমতো এদিনই তিনি রাজভবনে উপস্থিত হন। তাঁর শপথ গ্রহণের বন্দোবস্ত করা হয়। বিধানসভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটপর্ব মেটার পরই রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। রাজভবনে এসেই শপথ নেন নতুন রাজ্যপাল লা গণেশন।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব নয়া রাজ্যপালকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকসভার তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের অন্যান্য সদস্যরাও।
জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল কে হবেন বাংলার পরবর্তী রাজ্যপাল। বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে জল্পনা চলছিল। তার মধ্যে ছিল তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর নামও। আর ছিল প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর নাম। তবে সবথেকে বেশি যে নাম নিয়ে চর্চা চলছিল, তা হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বিজেপির অন্যতম সংখ্যালঘু মুখ মুক্তার আব্বাস নাকভির নাম।
তবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে মুক্তার আব্বাস নাকভিই এগিয়ে ছিলেন বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল। সম্প্রতি তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। ছেড়েছেন সাংসদ পদ। তারপর দেড় বছর পরেই ২০২৪-এর নির্বাচন। সেদিকে তাকিয়ে এমন একজনকে রাজ্যপাল করতে চাইছে কেন্দ্রের শাসক দল, যাতে বিশেষ ফায়দা তোলা যায়। উত্তরপ্রদেশের শিয়া মুসলিম নেতাকে রাজ্যপাল করলে মুসলিমদের মধ্যে বিজেপি ইতিবাচক প্রভাব ফেলা সক্ষম হবে বলে তাঁকে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল। তবে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশনকেও অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হল।