পেথাইয়ের পর আসছে ‘এল নিনো’! বঙ্গের শীতকে প্যাভিলিয়নে পাঠানোর রাস্তা সাফ
পেথাইয়ের ঝাপটা রুখে বঙ্গে শীতের দাপট শুরু হলেও নতুন বছরের শুরুতেই ফের শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং থমকে যাওয়ার আশঙ্কা।
পেথাইয়ের ঝাপটা রুখে বঙ্গে শীতের দাপট শুরু হলেও নতুন বছরের শুরুতেই ফের শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং থমকে যাওয়ার আশঙ্কা। ফের 'এল নিনো'র হানায় বঙ্গ শীতের আয়ুষ্কাল কমে যেতে পারে এক ধাক্কায় অনেকটাই। ডিসেম্বরের শেষে বাংলায় শীত জমিয়ে ব্যাটিং করলেও, নতুন বছরে এল নিনো-কে সামলাতে ব্যর্থ হবে শীত।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও ‘এল নিনো’
সম্প্রতি মৌসম ভবন এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে, শীতের আয়ুষ্কাল কমিয়ে দিতে ধেয়ে আসছে ‘এল নিনো'। পুনের মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও এই ‘এল নিনো'র প্রভাব পড়বে। এর ফলে শীতের মরশুমের গড় তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ০.৫ ডিগ্রি।
ঘূর্ণিঝড়ই রাস্তা দিয়েছে ‘এল নিনোকে
একের পর এক ঘূর্ণিঝড় এবার দাপিয়েছে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে। ২০১৮-য় মোট আটটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। যার ফলে সাগর থেকে জলীয় বাস্প ঢুকে গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটাই। সম্প্রতি পেথাই দাপিয়ে বেড়িয়েছে বঙ্গোপসাগরে। তার আগে স্বল্প ব্যবধানে তিতলি ও গাজার হানা হয়েছিল। আর বছরের শুরুতেই সাগর, মেকনু পর সেপ্টেম্বরে এসেছিল দয়া।
শীতের স্থায়ীত্বে কোপ
আবহবিদরা জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালের পর এবারই প্রথম একসঙ্গে আটটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছিল। তার ফল ভুগতে হবে শীতকে। এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটের ফলে শীত যেমন দেরি করে ঢুকছে, তেমনই শীতের স্থায়িত্বেও সমস্যা হচ্ছে। এবারও শীত দেরি করে ঢুকেছিল বঙ্গে। তার জন্য নিম্নচাপ তথা ঘূর্ণিঝড় দায়ী।
সাত-আটদিন অন্তর শীত ধাক্কা
কেন্দ্রীয় আবহবিদদের ব্যাখ্যা, কলকাতা, তথা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি সাগরের খুবই কাছে হওয়ায় এখানে শীতের আয়ুষ্কাল কম। সাত-আটদিন অন্তর শীত ধাক্কা খায়। অর্থাৎ টেস্টের মতো ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারে না শীত। ঝোড়ো ব্যাটিং করে চলে যায়, আবার ঘুরে আসে। এই ‘এল নিনো'র ফলে শীতের প্রকোপ যেমন কমবে, আরও কমবে আয়ুষ্কাল।