আদিবাসী তালিকাভুক্তির দাবিতে রেল অবরোধ কুর্মিদের, জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে উত্তাল সরডিহা
কুর্মি সম্প্রদায়ের আদিবাসী তালিকাভুক্তির দাবিতে রেল রোকোকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুর সরডিহা।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া, ৬ ফেব্রুয়ারি : কুর্মি সম্প্রদায়ের আদিবাসী তালিকাভুক্তির দাবিতে রেল রোকোকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুর সরডিহা। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় এদিন। আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। আন্দালনকারীদের প্রতিরোধে ঝাড়গ্রাম এসডিপিও-র মাথা ফেটে যায়।[স্মার্ট নাইবা হোক, সাধারণ ফোনেও এবার কাটা যাবে রেলের টিকিট]
সোমবার সকাল থেকে পুরুলিয়া আদ্রা শাখার কুস্তাউর স্টেশনে অবরোধ শুরু করে কুর্মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। ক্রমেই তা অন্যান্য স্টেশনেও ছড়িয়ে পড়ে। সরডিহা স্টেশনে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে। পাল্টা প্রতিরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সরডিহা।[শিয়ালদহ-হাওড়ায় লোকাল ট্রেনের টিকিট মিলছে কার্ডেই, স্টেট ব্যাঙ্কের সহায়তায় চালু ক্যাশলেস পরিষেবা]
অবরোধের জেরে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ওই শাখায়। চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় যাত্রী সাধারণকে। আদিবাসী কুর্মি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ ট্রেন লাইনে নেমে অবরোধে সামিল হন। তাঁদের দাবি, টোটেমিক কুর্মি সম্প্রদায়কে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী তালিকাভুক্ত করতে হবে। কুর্মি সম্প্রদায়ের নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো বলেন, এই সম্প্রদায় আগে আদিবাসী হিসেবে পরিগণিত হত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরই তারা আর আদিবাসী তকমা খোয়ায়।[যাত্রীদের স্টেশনে নিয়ে যাতায়াত করবে, রেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে উবার]
কুর্মিদের আদিবাসী হিসেবে গণ্য করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধেরই আন্দোলন চলছে। কিন্তু সরকার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। তাই এবার রেল অবরোধের রাস্তায় হাঁটলেন তাঁরা। যতক্ষণ না তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলতে থাকবে। তাঁদের আদিবাসী বলে গণ্য না করায় সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই তাঁরা এবার এককাট্টা।[মানসিক বিকার, অসুস্থ মানুষদের মেট্রো রেলে না চড়ার বিজ্ঞপ্তি দিল দিল্লি মেট্রো]
আদিবাসী অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি কুরমালি ভাষাকে অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই দাবিতেও সরব হন অবরোধকারীরা। এই অবরোধের জেরে আদ্রা-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে, আসানসোল-রাঁচি, গড়বেতা-রাঁচি প্রভৃতি ট্রেন আটকে আছে। পুরুলিয়ায় আটকে গিয়েছে বোকারো-বর্ধমান প্যাসেঞ্জার। আরও অনেক ট্রেন আটকে রয়েছে স্টেশনে স্টেশনে।
পুরুলিয়া ও হাওড়া এক্সপ্রেসকে টাটানগর দিয়ে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। অবরোধ তুলতে পুলিশ থেকে শুরু করে রেল কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। কথাবার্তা চালাচ্ছেন আদিবাসীদের সঙ্গে। কিন্তু সমাধান সূত্র বের হচ্ছে না। ফলে নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে।