সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারির চক্রান্তে যাঁরা ছিলেন, শ্রদ্ধা জানাতে নিজদায়িত্বে যাবেন! বিজেপি নিশানা কুণালের
সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারির চক্রান্তে যাঁরা ছিলেন, শ্রদ্ধা জানাতে নিজদায়িত্বে যাবেন! বিজেপি নেতাদের হুমকি পোস্ট কুণালের
কালীপুজোর রাতেই রাজ্যের রাজনীতিতে নক্ষত্র পতন ঘটেছে। মারা গিয়েছেন পঞ্চায়েকমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তারপরেই একাধিক রাজনৈতিক নেতা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সেই তালিকায় শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের মত নেতারাও রয়েছেন। তারপরেই ফেসবুকে বিজেপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। ফেসবুক পোস্টে বিজেপি নেতাদের রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, যাঁরা সুব্রত মুখোপাধাধ্যায়ের সিবিআই গ্রেফতারির নেপথ্যে কাজ করেছেন তাঁরা যদি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন নিজদায়িত্বে আসবেন।
মারা গেলেন সুব্রত
কালীপুজোর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের পঞ্চায়েক মন্ত্রী এবং দক্ষ রাজনীতিকের অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া। ৭৫ বছর বয়সেই মারা গেলেন তিনি। এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমরা। আজই শেষকৃত্য হওয়ার কথা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।
রবীন্দ্রসদনে শেষ শ্রদ্ধা
সকালেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে রবীন্দ্র সদনে। সেখানে একাধিক রাজনৈতিক নেতামন্ত্রী শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রয়াত মন্ত্রীকে। মরদেহ নিয়ে সেখানে পৌঁছেছিলেন ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়ানে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। রবীন্দ্র সদনের পর বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হবে প্রয়াত মন্ত্রীর দেহ। সেখান থেকে বালিগঞ্জের বাড়ি এবং একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব হয়ে েকওড়াতলা মহাশশ্মানে হবে শেষকৃত্য।
কুণালের নিশানা
এদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর একের পর এক বিজেপি নেতা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। টুইটে গতকাল রাতেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই বিজেপি নেতাদের টার্গেট করে বিস্ফোরক পোস্ট করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'BJP-র যে দুজন নেতা সাতসকালে CBI পাঠিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের চক্রান্তে জড়িত ছিলেন, এখন প্রচারের জন্য ন্যাকামি করে শোকজ্ঞাপন করতে সামনে গেলে নিজদায়িত্বে যাবেন। খবরটা অন্যরকমও হয়ে যেতে পারে। যদিও তৃণমূলকর্মীরা যথেষ্ট সংযত থাকবেন।'
নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার
একুশের ভোটের পরেই নারদ কাণ্ডের তদন্তে তৎপরতা শুরু করে সিবিআই। সাত সকালে সিবিআই আধিকািরকরা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের জেলেও রাত কাটাতে হয়েছিল। কিছুতেই জামিন দেওয়া হয়নি। শেষপর্যন্ত গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তারপরে জামিন মেলে। এই ঘটনায় বিজেপি নেতাদের হাত ছিল বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেই ফেসবুক পোস্টে বিজেপি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।