ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন কুণাল, অনুব্রত থেকে রাজ্যের মন্ত্রীদেরও ছাড়ছেন না সোজাসাপ্টা বাক্যবাণে
আবারও বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর বাগযুদ্ধ চলছেই। এবার আদালতে গিয়ে ফের সুর চড়ালেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক।
আবারও বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর বাগযুদ্ধ চলছেই। এবার আদালতে গিয়ে ফের সুর চড়ালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বাগযুদ্ধে চলছিলই, এবার রাজ্যের আরেক মন্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। সোমবার আদালতে বিচারকের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কুণাল ঘোষ।
সোমবার বিচারকদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, আইকোরের মঞ্চে যিনি বক্তব্য রেখেছিলেন, তিনি আমায় পাগল বলেছিলেন। তিনি এখন মন্ত্রী হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জেলে ঢোকানো দরকার। এদিন আত্মহত্যার চেষ্টা মামলায় বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে এমনই বিস্ফোর অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এদিন এমপি-এমএলএদের বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন। সেখানে বিতারকের সামনে তিনি বলেন, আমার দাঁতের চিকিৎসা করা হয়নি, অথচ প্রভাবশালীদের উডবার্নে চিকিৎসা হয়। এরপরই তিনি গর্জে ওঠেন, উডবার্ন কি হাসপাতাল, না কয়েদিদের আশ্রয়খানা?
শুধু এখানেই থামেননি কুণাল ঘোষ, তিনি আরও বলেন, যাঁদের নাম চিঠিতে রয়েছে তাঁরা দল বদলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সারদা ও নারদ মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন। এদিন একে একে তৃণমূলের মন্ত্রী, নেতাকে তো আক্রমণ করেনই। ছাড়েননি বিরোধী দলনেতাকেও।
এসএসসি নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি কিছুতেই ঘুচছে না। কুণাল ঘোষ এসএসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন কয়েকদিন আগেই। তিনি বলেছিলেন, ব্রাত্য বসুর সময়ে এসএসসি নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। এটা দলের ব্যাপার নয়, এটা প্রশাসনের ব্যাপার। এ বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভালো বলতে পারবেন।
এরপর এসএসসি ইস্যুতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ান আর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, পার্থদার ক্যাবিনেটে আমিও মন্ত্রী। কুণাল ঘোষ মন্ত্রিসভার কেউ নন। যদি এসএসসি নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়, তার দায় আমারও, পার্থদার একার নয়। আমাদের এটা একটা পরিবার। এরপর ফিরহাদকে পাল্টা দেন কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ বলেন, আমি যে মন্ত্রী নই, তা আমি জানি। আমাকে যে কেউ মনে করিয়ে না দেন যে আমি মন্ত্রী নই। আমার কোনও হেংলামি নেই। মন্ত্রী না হতে পারলে যাদের জীবন অসম্পূর্ণ, এই ক্রাইটেরিয়া তাদের জন্য। এরপর কুণাল ঘোষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা হয়নি কুণাল ঘোষের। কুণাল ঘোষ এরপর বলেন, পার্থদা আমারা নেতা, আমি তো যাই পার্থদার বাড়িতে। এটা তো প্রথম নয়, আমি পার্থদার বাড়িতে গেলাম। এরপর এদিন ফের আদালতে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তিনি। ছাড়লেন না মন্ত্রীদেরও।