
বিজেপির জেলা সভাপতি পদে তৃণমূল নেতার ছেলে! সুকান্তর সিদ্ধান্তে বিস্ফোরক কুণাল
সম্প্রতি উত্তর কলকাতার সভাপতি পদে নতুন মুখ বেছে নিয়েছে জন্য বিজেপি। তাতেই তৈরি হয়েছে এক অদ্ভুত সংঘাত। বিজেপির এই রদবদলে পিতা-পুত্র সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ। উত্তর কলকাতার তৃণমূল নেতার ছেলেকে বিজেপির উত্তর কলকাতার সভাপতি করার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ।

বিজেপির জেলা সভাপতি তৃণমূল নেতার ছেলে!
সম্প্রতি বিজেপির উত্তর কলকাতার সভাপতির কল্যাণ চৌবে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। ফলে তিনি সময় দিতে পারছেন না দলকে। তাই তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি বেছে নিয়েছে বিজেপি। আর নতুন সভাপতি বাছতে গিয়ে বিজেপি নির্বাচিত করেছে তৃণমূলের উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠের ছেলেকে। তা নিয়েই দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

বিজেপির রদবদলে উঠে পড়েছে বিরাট প্রশ্ন
উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি বর্তমানে তপন ঘোষ। তিনি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিবও। তাঁর এমপি ল্যাডের বিষয়টি তপন ঘোষই দেখেন। তাঁর ছেলে তমোঘ্ন ঘোষকে বিজেপি কল্যাণ চৌবের জায়গায় উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি করেছে। আর কল্যাণ চৌবেকে স্পেশ্যাল ইনভাইটি করা হয়েছে।

বিজেপি জেলা সভাপতি নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার উত্তর কলকাতার নতুন সভাপতির নাম ঘোষণার পরই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেন। তিনি বলেন, বিজেপির নিয়োগ নিয়ে কোনও কথা বলব না। কিন্তু ও তো সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেঠু বলত। এরপর আদি বিজেপি নেতাদের থুতু ফেলে ডুবে মরা উচিৎ। তবে আমি মনে করি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তমোঘ্নকে বিজেপিতে পাঠিয়েছেন। সময় হলে আবার তাঁকে তুলে নেবেন।

বিগত অনেক নজিরকেই ভেঙে দেবে বিজেপির সিদ্ধান্ত
উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতির ঘনিষ্ঠ তমোঘ্নর বাবা। আবার তিনি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিবও। তাঁর ছেলেকে বিজেপি সেই উত্তর কলকাতারই জেলা সভাপতি করেছে। এর আগে বাবা-ছেলে বা পরিবারের নিকট আত্মীয়রা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। কিন্তু তৃণমূল আর বিজেপির জেলা সভাপতি পদে বাবা ও ছেলে, এই ছবি সত্যিই নজিরবিহীন। বাবা তৃণমূলের জেলা সভাপতি, আর ছেলে বিজেপির জেলা সভাপতি। বিগত অনেক নজিরকেই ভেঙে দেবে বিজেপির এই সিদ্ধান্ত।

বিজেপির আদি নেতারা আবার সরব হবেন
আর তৃণমূল জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠের ছেলেকে বিজেপির জেলা সভাপতি করার পর কুণাল ঘোষ যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তা আরও সাংঘাতিক। তাঁর কথায়, তৃণমূল সাংসদই তাঁকে পাঠিয়েছেন বিজেপিতে। এবং যখন মনে করবেন তাঁকে বিজেপি থেকে তুলে নেবেন। এই মন্তব্যে প্রতিফলিত হচ্ছে সেই চর প্রথাই। অর্থাৎ তৃণমূলের চর হয়ে বিজেপিতে গিয়ে সভাপতি আসন অলঙ্কৃত করছেন। তাঁকে সভাপতি বেছে নেওয়ার পর বিজেপির আদি নেতারা যে আবার সরব হবেন বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তৃণমূল বিধায়ক মানিকের ছেলের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস! আদালতে বিস্ফোরক ইডি