ভাইপো নয় নাম বলুন, রাজনীতিতে পাল্লা দিতে না পেরে চরিত্রহনন! বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ
ভাইপো নয় নাম বলুন, রাজনীতিতে পাল্লা দিতে না পেরে চরিত্রহনন! বিস্ফোরক কুণাল
রামনগরে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সম্পূর্ণ মিথ্যা বক্তব্য রেখেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কৈলাশজিকে একহাত নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, যদিন সাহস থাকে নাম করে বলুন, ভাইপো বলতে কাকে বোঝাতে চাইছেন আপনি। রাজনীতিতে পাল্লা দিয়ে না পেরে চরিত্রহনন করবেন না।
নাম না করে ভাইপো বলা তো কাপুরুষতা
কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা কুৎসা করতে চাই না। কিন্তু একটি শব্দ নিয়ে কৈলাশজি এবং কিছু বিজেপি নেতা যা করছেন, তাতে আমাদের আপত্তি রয়েছে। সেই শব্দটি হল ভাইপো। ভাইপো বলতে আপনারা কারা বোঝাতে চাইছেন, তা খোলসা করুন। খোলসা করে নাম বলুন। নাম না করে ভাইপো বলা তো কাপুরুষতা।
মুকুলদার ছেলে শুভ্রাংশু কি ভাতিজা নন কৈলাশজির!
কুণালের কথায়, কৈলাশজি যাঁদের ভাই বলেন, তাঁদের ছেলেরা তো সবাই তাঁর ভাইপো বা ভাতিজা। জয় শাহের নাম না করেই কুণালের উক্তি, বিসিসিআইয়ে বসে আছেন তিনিও তো কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ভাতিজা। আর মুকুলদার ছেলে শুভ্রাংশু তিনি কি ভাতিজা নন কৈলাশজির!
রাজনীতিবিদের ছেলে কি রাজনীতিবিদ হতে পারেন না!
কুণাল ঘোষের কথায়, তৃণমূলের যুবনেতাকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিজেপি। রামনগরের সভায় মিথ্যাচার করেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আসলে অভিষেককে নিয়ে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই ভয় পেয়ে মিথ্যাচার করছেন। কেন এই কটাক্ষ। রাজনীতিবিদের ছেলে কি রাজনীতিবিদ হতে পারেন না? অধ্যাপকের ছেলে অধ্যাপক হয় না? ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার হয় না? আইনজীবীর ছেলে আইনজীবী হয় না?
আমি নাম করে বলছি, সাহস থাকে আপনিও নাম করে বলুন
রাজনীতিবিদের আত্মীয়-পরিজনরাও রাজনীতিতে আসতে পারেন। ঠিক যেমন শুভ্রাংশু, আকাশ বিজয়বর্গীয়রা এসেছেন। কৈলাশকে তিনি মনে করিয়ে দেন, আকাশ বিজয়বর্গীয় পুরকর্মীদের মেরেছিলেন। আকাশ একজন গুণ্ডা, আমি নাম করে বলছি। আপনার যদি সাহস থাকে আপনিও নাম করে বলুন।
বলেছিলেন- ভাগ মুকুল ভাগ, এখন কেন নাম নিতে বাধা
২০১৫-য় ভাগ আপনারা বলেছিলেন- ভাগ মুকুল ভাগ। তাহলে এখন কেন নাম নিতে বাধা। একটা বাচ্চা ছেলে রাজনীতিতে এসে এত নাম করেছে স্বল্প দিনে। দুবার পর পর সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে। এলাকার নয়নের মণি। তৃণমূলে ছাত্র-যুবদের নয়নের মণি। তাঁর সঙ্গে রাজনীতিতে টেক্কা দিতে না পারায় কুৎসার আশ্রয় নিয়েছে বিজেপি।
মুকুল রায়কে দলে নিয়ে সারদা নিয়ে জ্ঞান দেবেন না, প্লিজ
কুণাল ঘোষ বলেন, মুকুল রায়কে দলে নিয়ে সারদা নিয়ে জ্ঞান দেবেন না। মির্জা বলেছেন, মুকুল রায়ের গ্রেফতার হওয়া উচিত। অথচ মির্জাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার আগে পরের শব্দগুলোকে ধরে মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আমি তো স্রেফ মুকুল রায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার কথা বলেছিলাম। কেন তা করা হল না?
প্রশান্ত কিশোরকে একহাত নিলেন তৃণমূল নেতা! জানিয়ে দিলেন মমতার বিকল্প কে