Abhishek versus Suvendu: শুভেন্দুর দুয়ারে অভিষেকের সভা, দিলীপকে কড়া জবাব কুণালের
Abhishek versus Suvendu: শুভেন্দুর দুয়ারে অভিষেকের সভা, দিলীপকে কড়া জবাব কুণালের
শুভেন্দুর দুয়ারে অভিষেকের সভা শনিবার। তা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কাঁথিতে তৃণমূলের সভাকে দিলীপ ঘোষ বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে সভা করে উৎপাত করা ছাড়া কাজ নেই বলে কটাক্ষ করতেই কড়া জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের মুখপাত্র বুঝিয়ে দিলেন কাঁথিতে শুধু দলবদলু নেতার বাড়ি নয়, তৃণমূলের টিকিটে জেতা দুই সাংসদেরও বাড়ি এখানে।
শুক্রবার কাঁথির সভা নিয়ে দিলীপ ঘোষের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বলেন, অভিষেকের সভা কাঁথিতে। তা নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহত্তম মাঠে এই সভা হবে। সেখানে চারপাশ থেকে যা মানুষ আসবে তাতে উপচে যাবে মাঠ। রেকর্ড সমাবেশ হবে কাঁথিতে। আমাদের সংগঠকরা চিন্তিত ওই জেলার দূর থেকে যারা আসবেন তারা ঢুকবেন কীভাবে। অভিষেককে দেখতে এলাকা উপচে যাবে, আমরা সেদিকে তাকিয়ে।
অভিষেক আগেও চা শ্রমিকদের নিয়ে ওখানে সভা করেছে। কাঁথি বৃহত্তম মাঠের এক-চতুর্থাংশও ভরতে পারে না বিজেপি। দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষের সুরে তিনি জবাব দেন, এখানে মাঠ আছে, সুলভ শৌচালয় আছে। ওটাকে শুভেন্দুর বাড়ি বলছেন কেন? ওখানে তো তৃণমূলের টিকিটে জেতা নেতাদেরও বাড়ি। তাহলে কি দিলীপবাবু বিজেপি নেতা হিসাবে ধরে নিয়েছেন শিশিরবাবুদের?
এদিকে অভিষেককে পাল্টা দিতে শুভেন্দু শনিবার সভা করছেন ডায়মন্ডহারবারে। এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের যুক্তি, নানা অপব্যাখ্যা চলছে। মনে রাখতে হবে ডায়মন্ড হারবার অভিষেকের নির্বাচনী কেন্দ্র। আর কাঁথি তৃণমূল এর টিকিট জেতা কেন্দ্র। কীসের শুভেন্দু-গড়। আসলে অভিষেক ফোবিয়ায় ভুগছেন শুভেন্দু। তা না হলে ওইদিনই ওকে সভা করতে হচ্ছে। অভিষেক-ফোবিয়ার জন্যই পাগলামি করছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি আরও মোদি-শাহের মাঠকে ব্যবহার করে শুভেন্দু সভা করবেন। যে মাঠে সভা করছেন, তার এক চতুর্থাংশ ভর্তি না হলে তো কথা হবেই। কোন মাঠে সভা করছেন সেটা তাই বড় কথা। শুভেন্দু যে সভা করছেন, রেল স্টেশনের বাইরে এর থেকে বেশি লোক থাকেন। অভিষেক মিটিং করছেন বলে বলে ওকে করতে হবে। শয়নে স্বপনে দেখছেন অভিষেককে। অভিষেক আতঙ্কে ভুগছেন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর নিয়েও মুকে খোলেন কুণাল। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন রেলমন্ত্রী ছিলেন, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ছিলেন। দিল্লি গেলে বিভিন্ন জায়গায় মিট করেন। আমাদের দলের সাংসদদের সঙ্গে সঙ্গে মিট করবেন। 'নো ভোট টু বিজেপি' স্লোগান তুলে তিনি বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
এদিন বাংলার নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল মুখপা্ত্রের কথায়, বাংলা পথ দেখাবে দেশকে। এ কথা বলেছেন নতুন রাজ্যপাল। ভালো বিষয়। কেন্দ্রের নিয়োগ করা রাজ্যপাল। কেন্দ্রের রিপোর্ট পড়ে এসেছেন। বাংলায় মহিলা নিরাপত্তার ইতিবাচক দিকগুলো জেনে এসছেন। এটা ভালো।
Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার সরকারের, নেপথ্যে কী কারণ
Recommended Video