তৃণমূলের ‘নন্দ ঘোষ’ প্রশান্ত কিশোর ঢাল বিজেপি-যোগের, বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ
তৃণমূলে এখন 'যত দোষ নন্দ ঘোষ' হলেন প্রশান্ত কিশোর। যাঁরা বিজেপিতে যেতে চাইছেন বা তৃণমূল ছাড়তে চাইছেন, তাঁরা পিকে অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। প্রশান্ত কিশোরের ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে নিজেরা দলবদল করে ফেলার ফন্দি এঁটেছেন। প্রশান্ত কিশোরের পাশে দাঁড়িয়ে এমনই বার্তা দিল তৃণমূল নেতৃত্ব।

বিদ্রোহী নেতাদের দিকে আঙুল কুণালের
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দলের বিদ্রোহী নেতাদের দিকে আঙুল তুলে বলেন, কেউ কেউ বিজেপিতে যেতে চাইছেন বলেই প্রশান্ত কিশোরকে দোষ দিচ্ছেন। প্রশান্ত কিশোর তো আর সদ্য এসে দলে প্রচার পরিকল্পনার দায়িত্ব নেননি। তিনি দলের দায়িত্ব নিয়েছেন এক বছরাবধিকাল। এখন তা হলে এক কথা উঠছে কেন?

প্রশান্ত কিশোর তাঁদের দলের কেউ নন
কুণাল ঘোষের কথায়, প্রশান্ত কিশোর তাঁদের দলের কেউ নন। তাঁকে বা তাঁর সংস্থাকে প্রযুক্তিগত প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে আনা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে এত কথার কিছু নেই। তিনি এসেছেন প্রচার পরিকল্পনা প্রস্তুত করতেও। তাঁর সংস্থা প্রশিক্ষিত সদস্যদের নিয়ে তৈরি। তাঁরা সমীক্ষা চালিয়ে যেমনটা রিপোর্ট পাচ্ছেন তাঁর ভিত্তিতে প্রস্তাব দিচ্ছেন।

যেসব নেতারা হালে পানি পাচ্ছেন না
কুণাল ঘোষ বলেন, কোনও কোনও নেতা হালে পানি পাচ্ছেন না। তাই তাঁরা প্রশান্ত কিশোরকে ঢাল করে সরে যেতে চাইছেন। বা তাঁদের কাছে প্রস্তাব রয়েছে অন্য কোনও দলের, তাই তাঁরা কোনও বাহানা দেখিয়ে বেরিয়ে যেতে চাইছেন, সেজন্যই ঢাল করা হচ্ছে প্রশান্ত কিশোরকে বা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে। ওই জুজু দেখিয়ে তাঁরা সুর চড়াচ্ছেন।

দাদার অনুগামী নাম দিয়ে কারা প্রচারে
তাঁর সাফ কথা, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে রয়েছেন। ফলে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সাংসদ বৈঠক করতেই পারেন। আর তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তিনি কোনও কথা বলেননি। তাঁকে নিয়ে যা হচ্ছে তার বেশিরভাগটাই অন্য কারও রটনা করা। দাদার অনুগামী নাম দিয়ে কারা এসব প্রচার চালাচ্ছে, সেটা তো দেখতে হবে।

শুভেন্দু-কাঁটা মাড়িয়েই ঐক্যের বার্তা তৃণমূলে, মমতা সকাশে জোটবদ্ধ হলেন নেতারা