
কেন বিজেপিতে শুভেন্দু! 'ফাঁস' কুণালের, গ্রেফতারের দাবিতে 'শান্তিকুঞ্জে'র সামনে মিছিল তৃণমূলের
টাকা নেওয়া তো বটেই, ব্ল্যাকমেলও করতেন! শুভেন্দু অধিকারী'র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের। আর এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল বাংলা। আজ সোমবার কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র পথে নেমেছে তৃণমূল।
এমনকি কোচবিহারে বিরোধী দলনেতাকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগানও দেন তৃণমূল-নেতা-কর্মীরা। পালটা বিজেপি'র তরফেও জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়া হয়। যা ঘিরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভ কর্মসূচি'র ডাক
সারদা-কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভ কর্মসূচি'র ডাক দেওয়া হয়। আজ সোমবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্স অর্থাৎ সিবিআই দফতর সহ হলদিয়া, কাঁথি সমস্ত জায়গাতেই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। সেই মতো বিকেল তিনটে থেকে বিভিন্ন জায়গাতে বিক্ষোভ চলছে। কাঁথিতে কার্যত বিরোধী দলনেতার বাড়ি 'শান্তিকুঞ্জে'র বাড়ি'র সামনে থেকে মিছিল করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সেখানে ছিলেন সুপ্রকাশ গিরি সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব।

ভাজপা মেশিনে ঢুকে ফ্রেশ হয়েছেন
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় রাজ্যের মন্ত্রী অখির গিরি'র ছেলে সুপ্রকাশ বলেন, সুদীপ্ত সেন প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিতেন। কয়েকশ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করছে না বলে দাবি সুপ্রকাশের। বেছে বেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ফাঁসাচ্ছে। আর যারা আসল অপরাধী তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে তোপ সুপ্রকাশের। শধু তাই নয়, গরীবের টাকা যারা মেরেছে তাঁরা আজ বিজেপিতে নাম ঢুকিয়ে এবং ভাজপা মেশিনে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে গিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলেও আক্রমণ তাঁর।

বৃহত আন্দোলনের ডাক
আর সেই কারণেই শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি চেয়ে পথে নামা বলে দাবি সুপ্রকাশের। তবে শুভেন্দু বাড়ি'র সামনে দিয়ে মিছিল ঘিরে তাঁর দাবি, শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল হচ্ছে। রাস্তায় বাড়ি থাকতেই পারে। তবে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে যে এলাকায় তিনি বসবাস করছেন সেখানকার মানুষের জানা'র দরকার আছে কার সঙ্গে বসবাস করছেন তাঁরা। তবে শুভেন্দু অধিকারী গ্রেফতারি না হওয়া পর্যন্ত বৃহত আন্দোলনের ডাক তৃণমূল নেতার।

কেন বিজেপিতে শুভেন্দু?
অন্যদিকে সিবিআই অফিসের সামনেও বিক্ষোভ চলছে। সেখানে বাবুল সুপ্রিয়, কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব তৃণমূলের উপস্থিত রয়েছেন। ওই সভামঞ্চ থেকেই বাবুল বলেন, প্রতিহিংসা'র রাজনীতি করছে। একই সঙ্গে কুণাল বলেন, এখানকার অফিসাররা জানেন সব। শুভেন্দু অধিকারী বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন বলে দাবি কুণালের। গ্রেফতারিতে এড়াতেই তাঁর বিজেপিতে যাওয়া বলেও দাবি তাঁর।