বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে! কতজন বিধায়ক-সাংসদ রয়েছেন তালিকায়, জল্পনা বাড়ালেন কুণাল
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে! কতজন বিধায়ক-সাংসদ রয়েছেন তালিকায়, জল্পনা বাড়ালেন কুণাল
রেকর্ডসংখ্যক আসনে জিতে বাংলার ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই চোরাস্রোত তৈরি হয়েছে। সেই স্রোত বেয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে জোয়ার আসতে চলেছে। অনেকেই দল ছেড়েছেন, অনেকে তৃণমূলে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন, সেই তালিকা যখন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে, তখন তৃণমূলের মুখপাত্র ছাড়লেন কুণাল ঘোষ বোমা ফাটালেন।
বিজেপিতে মোহভঙ্গ! তৃণমূলে ঘরওয়াপসির হিড়িক পড়তে চলছে একুশের ভোট শেষে
বিজেপি এখন প্রাক্তন তৃণমূলীদের লড়াইয়ের মঞ্চ! শুভেন্দুর উত্থানে মুকুল-ঘনিষ্ঠরা ব্যাকফুটে
মমতার আঁচল তলায় ফিরতে আবেদন যাঁদের
মমতার আঁচল তলায় থেকে রাজনীতি করতে ভুল স্বীকার করে তৃণমূলে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন একসময়ের ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহ। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন আর এক জনপ্রিয় নেত্রী সরলা মুর্মু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কছে তাঁর আবেদন, তিনি ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই তৃণমূলে ফিরতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়ায় থেকে কাজ করতে চান উত্তর দিনাজপুরের অমল আচার্যও। তিনিও চিঠি দিয়েছেন।
তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন নেতারা, ভঙ্গুর বিজেপি
দুই নেত্রীর তৃণমূলে ফেরার আহ্বান, আগে দীপেন্দু বিশ্বাস ভূষণ সিংয়ের বিজেপি থেকে পদত্যাগের পর কুণাল ঘোষ বলেন, শুধু দু-চারজন নয়, অনেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। তবে তৃণমূল এখনও এঁদের নিয়ে কোনও নীতি প্রণয়ন করেনি। তবে এই প্রবণতা দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপির অবস্থা কতটা ভঙ্গুর।
দুই বিজেপি নেতার কাছে গেল পুলিশের নোটিস, তীব্র আলোড়ন হাইপ্রোফাইল ডাকাতির ঘটনা ঘিরে
৬-৭ বিধায়কের পাশাপাশি ৩ সাংসদও লাইনে
এ প্রসঙ্গেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, শুধু দলত্যাগী নেতা-নেত্রীরা নন, তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বা তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বিজেপির ছয়-সাতজন বিধায়ক। তিনজন সাংসদও লাইনে আছেন। কুণালের এই বার্তায় জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে। কোন বিধায়ক-সাংসদ দলবদল করতে পারেন, নাম নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হলেও জনসংযোগে নন, একুশে ব্যর্থতার কারণ দর্শালেন বামেরা
বিজেপি-ভাঙনের বার্তা তৃণমূল মুখপাত্র কুণালের
বাংলার ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন ধরবে বলে বার্তা দিয়ে চলছেন কুণাল ঘোষ। যখনই তিনি তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হচ্ছেন, তখনই সেই সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন। এখন দেখার তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যাতেও কোপ পড়ে কি না। কিংবা সাংসদ সংখ্যাও সীমিত হয় কি না।
বামেরা অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে একুশের নির্বাচনে, তবু আলোর রেখার খোঁজ চলছে
তৃণমূলের কাছে করোনা মোকাবিলা অগ্রাধিকার
তৃণমূল মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, এখন তৃণমূলের কাছে করোনার মোকাবিলা করার অগ্রাধিকার পাচ্ছে। তাই দলবদল বা তৃণমূলে ফিরতে আগ্রহীদের নিয়ে কোনও অবস্থান স্পষ্ট করছে না। তৃণমূল কংগ্রেস করোনার মোকাবিলা করার পর আগ্রহী নেতাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কেননা এঁরা বিপদের সময় দল ছেড়েছিলেন, এখন তাঁদের নিয়ে কী অবস্থান, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে।
তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে পা বাড়িয়েছেন যাঁরা
সোনালি গুহের পর সরলা মুর্মু বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন ইটাহারের প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্য। এদিকে ফুটবলার তথা প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, প্রাক্তন পুর চেয়াম্যান ভূষণ সিং বিজেপি ছেড়েছেন। এমন আরও অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
সোনালি গুহের খোলা চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টানা তৃতীয়বার সরকার গড়ার পর অভিমানী সোনালি গুহ তাঁর মন বদলান। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে তিনি খোলা চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাতে তিনি লিখেছেন, "আমি অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম, সেটা আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি, মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমন আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে,বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।"
সোনালির মতো মোহভঙ্গ মালদহের সরলা মুর্মুরও
সোনালি গুহের মতো সরলা মুর্মুও জানান, তিনি ভুল করছেন। বিজেপিতে যাওয়া তাঁর বড় ভুল। বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হওয়ায়, তিনি এবার ফিরতে চান তৃণমূলে। তৃণমূলে দিদির সৈনিক হয়েই কাজ করতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই চলতে চান। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা সরলা মুর্মুর তরফে কোনও আবেদন এখনও পাননি। পেলে ভেবে দেখবেন। রাজ্য নেতৃত্বকে জানাবেন।
উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট নেতা অমল আচার্যর চিঠি তৃণমূল নেতৃত্বকে
তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে এবার চিঠি লিখলেন প্রাক্তন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমল আচার্য। রবিবার তিনি তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি লিখে ঘরওয়াপসির আহ্বান জানান। ইটাহারের প্রাক্তন বিধায়ক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি অমল আচার্য হলেন তৃতীয়জন, যিনি বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন করলেন। উত্তরের হেভিওয়েট এই নেতা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে দলে তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
ভোটের পরই বিজেপিতে ভাঙন পুরুলিয়া, ভাঙছে কংগ্রেস-সিপিএমও
বাংলার মানুষ নিজের মেয়েকেই বেছে নিয়েছে। আর তারপরই বাংলায় বইতে শুরু করেছে উল্টো স্রোত। গোটা জেলাতেই একের পর এক ধাক্কা। গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক। যেমন পুরুলিয়াতে বিজেপিতে বফড়সড় ধাক্কা। বিজেপি থেকে একাধিক নেতা কর্মী এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। এছাড়াও কংগ্রেস ও অন্যান্য দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন একাধিক নেতা-কর্মী। এমনকি কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন সদলবলে ঘাসফুলের পতাকা ধরেন।
আসুক না কে বারণ করেছে, এলে স্বাগত : মমতা
ভোটের আগে দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। একুশের বিধানসভায় বিপুল সাফল্য পাওয়ার পর দলত্যাগীদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরতে চাইলে সকলকেই দলে স্বাগত জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ভোটে বিজেপি-র পরাজয়ের পর তাই তাঁদের তৃণমূলে ফিরে আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। মমতা বলেছিলেন, ''আসুক না। কে বারণ করেছে! এলে স্বাগত।''