তৃণমূলে তাড়াতাড়ি যোগ দিতে চাইছেন কেউ কেউ, কাদের উদ্দেশ্য করে বার্তা কুণালের
সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস দুই বিধায়ক ও কতিপয় বিজেপি নেত্রী বৈঠক করে যান বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁথির সভা থেকেই বিজেপিতে ভাঙন জল্পনা শুরু হয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরজা ফাঁক করার বার্তার পর থেকেই বিজেপি ছেড়ে কারা আসতে পারেন তৃণমূলে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। এখন ভাইরাল ছবি বিতর্কের পর তা আবার নয়া মোড় নিয়েছে।
বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা
সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস দুই বিধায়ক ও কতিপয় বিজেপি নেত্রী বৈঠক করে যান বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই বৈঠকের পর একটি ছবি প্রকাশিত হতেই জল্পনার পারদ আরও চড়তে থাকে বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে।
আরও চমক রয়েছে! অপেক্ষা করুন, প্রকাশ পাবে
তৃণমূলের পক্ষ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি দাবি করেন, ওই ছবিটি ১০ জানুয়ারি অভিষেকের অফিসের। তারপর তিনি বলেন, আরও চমক রয়েছে। অপেক্ষা করুন, সব প্রকাশ পাবে। তারপর বলেন, সেদিন শুধু দু-জন বিধায়ক নন, বেশ কয়েকজন বিজেপি নেত্রীও ছিলেন বৈঠকে।
কুণাল ঘোষ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে আরও জল্পনা বাড়ালেন
আর ওই ছবি প্রকাশ হওয়ার অদ্যাবধি পরেই বিজেপি বিধায়ক একটি পুরনো ভিডিও প্রকাশ করে তাৎপর্যপূর্ণ ও ইঙ্গিতবাহী বার্তা দেন। তারপর থেকে জল্পনার ঘনঘটা আরও বেড়েছে। এরই মধ্যে তৃণমূল মুখপা্ত্র কুণাল ঘোষ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে আরও জল্পনা বাড়ালেন।
বিজেপি জানেই না অনেকে দলবদল করতে প্রস্তুত
কুণাল ঘোষ বলেন, হিরণ নিয়ে বিজেপি সান্ত্বনা পুরস্কারের কথা ভাবছে। কেউ অভিষেকের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন, কেউ চাইছেন তাড়াতাড়ি যোগ দিতে। অনেকে আবার দুর্গাপুরের কার্যকারিনী বৈঠক থেকে হোয়াটসঅ্যাপে টেক্সটও করেছেন। বিজেপি জানেই না অনেকে দলবদল করতে প্রস্তুত।
বালিতে মুখ গুঁজে যদি কেউ ভাবে ঝড় আসেনি, তা ভুল
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘেষের কথায়, যোগদান মেলায় যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বিয়োগ মেলায় আসতে প্রস্তুত। শুধু নব্যরাই নন, আদি বিজেপিরাও কথা বলছেন। এরপর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে তিনি বলেন, বালিতে মুখ গুঁজে যদি কেউ ভাবে ঝড় আসেনি, তাহলে ভুল ভাবছেন।
হিরণকে নিয়ে জল্পনা বাড়তেই মিঠুন চক্রবর্তী ময়দানে
কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পর বিজেপিতে ভাঙন ও দলবদল জল্পনা যে কেয়কগুণ বাড়বে তা বলাই যায়। আর বিজেপিতে যে অস্বস্তি বাড়ছে, তার প্রমাণ হিরণকে নিয়ে জল্পনা বাড়তেই মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামায় বিজেপি। মিঠুন জানান, ২১ জন তাঁর সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রাখছিল, এখন সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। বিজেপিতে যাঁরা পা বাড়িয়ে রয়েছেন তাঁদের মধ্যে শুধু বিধায়ক নন, আছেন সাংসদরাও।
৪০ জন বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসতে মুখিয়ে, পাল্টা
বেশ কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ এবার বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে পাল্টা ভাঙন জল্পনার পারদ চড়িয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুনের কথায়, দিল্লির সবুজ সংকেত পেলেই বিজেপি তাঁদের যোগদান করাবে। এর আগে রাজ্যে প্রচারে এসে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মিঠুন দাবি করেছিলেন একুশ জনেরও বেশি বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। আর সুকান্ত মজুমদার ও অগ্নিমিত্রা পালও ৪০ জন বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসতে মুখিয়ে আছেন বলে দাবি তাঁদের।
তৃণমূলকে রুখতে বাম-বিজেপি জোট পঞ্চায়েত ভোটে! বাংলায় বদলে যেতে পারে সমীকরণ