বিজেপিতে ভাঙন কি সত্যি ডিসেম্বরেই, অভিষেকের পর জল্পনা উসকে দিলেন কুণালও
বিজেপিতে ভাঙন কি সত্যি ডিসেম্বরেই, অভিষেকের পর জল্পনা উসকে দিলেন কুণালও
বিজেপি ডিসেম্বর-ত্রাস ছড়িয়েছিল সম্প্রতি। কিন্তু সেই ডিসেম্বর ত্রাসকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। কাঁথির সভা থেকে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ সেকেন্ডের জন্য দরজা খোলার বার্তা দিয়েছিলেন। তার ফলে ডিসেম্বরে তৃণমূল সরকারের কী ঘটবে তা স্থগিত রেখে জল্পনা শুরু হয়েছে বিজেপিতে ভাঙনের।
দরজাটা খুলব ৫ সেকেন্ডের জন্য!
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই বলেন, আমি দরজা খুললে বিজেপির পুরো দলটাই শেষ হয়ে যাবে। শুধু আমাদের নেতা-কর্মীরা চাইছেন না বলে আমরা দরজা বন্ধ করে রেখেছি। কিন্তু এখন একবার খুলে দেওয়ার ইচ্ছা হচ্ছে। তাই তিনি কাঁথির জনসভায় অনুমতি চান, ডিসেম্বরে কি ছোট্ট করে দরজাটা খুলব ৫ সেকেন্ডের জন্য। তাঁর এই বার্তার পর মঙ্গলবার সংহতি দিবসে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সেই জল্পনা আরও খানিকটা উসকে দিলেন।
কারা লাইনে রয়েছেন বিজেপির?
রাজ্য রাজনীতিতে এখন কান পাতলেই আলোচনা শোনা যাচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দরজা খুলবেন বলছেন, কারা লাইনে রয়েছেন বিজেপির? তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপির একাধিক সাংসদ, বিধায়ক ও পদাধিকারী পদ্ম-পতাকা ছেড়ে জোড়া ফুলের পতাকা ধরতে মুখিয়ে রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এখন তাঁদের মধ্যে কাদের এন্ট্র হয় তৃণমূলে, তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই চূড়ান্ত করবেন।
তৃণমূলে আসার জন্য চিঠি অভিষেককে!
সংহতি দিবসের মঞ্চে কুণাল ঘোষ বলেন, অভিষেক বলেছেন দরজা খুললে বিজেপি উঠে যাবে। নজর রাখুন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কী কৌশল নিচ্ছেন। আর সভার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, অভিষেকের কাছে একের পর এক আবেদন আসছে। একাধিক বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক, এমনকী পদাধিকারী নেতারাও তৃণমূলে আসার জন্য চিঠি দিয়েছেন অভিষেককে।
এঁদের ৯৯.৯৯ শতাংশ বিজেপি!
তিনি বলেন অনেকে যেমন চিঠি লিখেছেন, অনেকে আবার হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসটাইম কলও করেছেন। আর একটি কথা হল, এঁরা কিন্তু কেউ দলবদলু নেতারা নন। এঁদের ৯৯.৯৯ শতাংশ বিজেপি। অভিষেক বলেছেন, ধৈর্য ধরুন। তবে আমরা কয়েকজনের পারফরম্যান্স দেখব। অভিষেকের পর কুণালের মুখে এতটা প্রত্যয় দখে রাজনৈতিক মহলও ভাবছে, বিজেপিও উদ্বেগে।
দরজা শেষ পর্যন্ত কারা খোলে, দেখা যাক
তবে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন, এসব শুধু চাপ কাটানোর স্ট্র্যাটেজি। শুবেন্দুর ডিসেম্বর ভবিষদ্বাণী সত্যি হলে আর দরজা খুলতে হবে না তৃণমূলকে। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ওরা বরং দরজা-জানালা বন্ধ করে বসে থাকুক। আর দরজা শেষ পর্যন্ত কারা খোলে, সেটা দেখা যাবে পরে।
বিজেপির ডিসেম্বর ধামাকাও জল্পনায়
সেই কারণে বিজেপি ডিসেম্বরে কী ধামাকা দেয়, তার দিকেও তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈচিক মহল। মিঠন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পালরাও আবার তৃণমূল নেতারা যোগাযোগ রাখছেন বলে জল্পনা বাড়িয়েছেন। এবার শমীক ভট্টাচার্যও পাল্টা দিলেন তৃণমূলকে। তিনি বললেন, তৃণমূল নেতাদের দয়া করে রাতের বেলা ফোন করে বিরক্ত করতে মানা করুন।
ছবি সৌ:ফেসবুক
Mamata Banerjee: মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কোন পথে হাঁটবে দল? রণকৌশল নির্ধারণে সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা