মুকুল-দিলীপদের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাসেই কাঁপুনি বিজেপিতে! বাণ ছাড়লেন কুণাল ঘোষ
২০২১ নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই দিতে গিয়ে নিজেরাই কেঁপে যাচ্ছে। তৃণমূলে মুখপাত্র হয়েই বিজেপিকে ভাঙনের বার্তা দিলেন কুণাল ঘোষ।
২০২১ নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই দিতে গিয়ে নিজেরাই কেঁপে যাচ্ছে। তৃণমূলে মুখপাত্র হয়েই বিজেপিকে ভাঙনের বার্তা দিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি মনে করেন, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ঘরওয়াপসির পিছনে রয়েছে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষদের পারস্পরিক অবিশ্বাস। এর পিছনে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই বলে সাফ জানালেন কুণাল।
২০২১ নির্বাচনের আগে বিজেপি স্বয়ং কাঁপছে
প্রাক্তন এই সাংসদ-সাংবাদিক তৃণমূলে সক্রিয় হয়েই মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েই ক্ষান্ত থাকলেন না, বিজেপিতে ভাঙন নিয়ে যে কাঁপুনি ধরা দিয়েছে, তার ব্যাখ্যাও দিলেন। শুধু তৃণমূল নেতা হিসেবে নয়, সাংবাদিক হিসেবেও তিনি ব্যাখ্যা করলেন ২০২১ নির্বাচনের আগে বিজেপি স্বয়ং কেঁপে গিয়েছে।
মুকুল-দিলীপদের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস প্রবল
কুণাল বলেন, আমার মনে হয় বিজেপির মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাসেই কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে। ইনি ওঁকে বিশ্বাস করছেন না, উনি তাঁকে সরাতে চাইছেন। আমার মনে হয় কেউ কেউ এসব আমার ঘাড়ে দল ভাঙানের অভিযোগ চাপিয়ে দিতে চাইছেন। এটা ঠিক নয়। আমি অত শক্তিশালী কেউ নই, গুরুত্বপূর্ণ কেউ নই।
প্রতিষ্ঠিত বিরোধী দলে কেন কাঁপুনি !
বিজেপি তথা বিরোধীরা এখন থেকেই বলতে শুরু করেছেন, কুণাল ঘোষ পিছন থেকে সামনে এসে দলের মুখপা্ত্র হয়েছেন। তাঁকে দিয়ে তৃণমূল দল ভাঙানোর খেলা চালিয়ে যাবে। আর কিছু অপপ্রচার করাবে।। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুণালের জবাব আমি এমন শক্তিশালী কেউ নই। আর যদি বিজেপি প্রতিষ্ঠিত বিরোধী দল হয়, তাদের এমন ভঙ্গুর অবস্থা যে আমার মতো একজন তুচ্ছ ব্যক্তি কার সঙ্গে দেখা করবে, তাতেই কম্পন ধরে যাবে দলে।
মুকুলকে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা
মুকুলদাকে আমি দীর্ঘদিন চিনি। তাঁর চোখে একটা প্রবলেম হয়েছে, একটা ইঞ্জেকশনও নিতে সহয়েছে। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আমি চাইব তিনি এবার নতুন দৃষ্টিশক্তি নিয়ে নতুন করে ফিরে আসুন। তিনি তাঁর এই কথার মধ্য দিয়ে মুকুলকে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে জল্পনার পারদ আরও চড়িয়ে দিলেন।
মমতার এক ডাকেই কাঁপুনি বিজেপির
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্যো পাধ্যায় ডাক দিয়েছেন যাঁরা ভুল করে চলে গিয়েছেন, তাঁরা ফিরে আসুন। তা নিয়ে দলের কী অবস্থান, সেই প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন. ওটা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যাপার। কে ফিরতে চাইছেন, কে ফিরবেন, দল ঠিক করবে সেইসব। কিন্তু মমতা এক ডাকেই বিজেপিতে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছেন।
তৃণমূলে ফি্রে আসা প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা
বিপ্লব মিত্র বা প্রশান্ত মিত্রের মতো নেতাদের ফি্রে আসা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস একটা পরিবার, একটা বাড়ি। রাগারাগি হলে কেউ বাড়ি ছেড়ে চলে যেতেই পারে। আল্টিমেট সে তো ফিরে আসে। রাগ পড়ে গেলে ফিরে আসে। আমি মনে করি প্রত্যেকেরই ফিরে আসা উচিত। আমরা তো বাবার উপর রাগ করি। তা বলে কি পাশের বাড়ির জেঠুকে বাবা বলতে পারি। তাই যত কটাক্ষ হোক, কুৎসা হোক আমি দল ছাড়িনি এখানেই থেকেছি।