মুকুল-শুভেন্দুর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি কুণালের, নারদ কেলেঙ্কারি মামলায় বিতর্ক তুঙ্গে
মুকুল-শুভেন্দুর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি কুণালের, নারদ কেলেঙ্কারি মামলায় বিতর্ক তুঙ্গে
নারদ-কাণ্ডে চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কিন্তু বিজেপির দুই হেভিওয়েট বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি সিবিআই আধিকারিকরা। তা নিয়ে প্রশ্নের মাঝেই আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ, নারদ মামলার কথা নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেননি মুকুল-শুভেন্দু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হলেও জনসংযোগে নন, একুশে ব্যর্থতার কারণ দর্শালেন বামেরা
নারদ মামলার কথা কেন উল্লেখ করেননি মুকুল রায়?
নারদ-কাণ্ডে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল। মুকুল-শুভেন্দুরা স্পিকটি নট। এদিনে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনী হলফনামায় নারদ মামলার কথা কেন উল্লেখ করেননি মুকুল রায়? কেন শুভেন্দু অধিকারী আংশিক তথ্য গোপন করলেন
মুকুল ও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নারদ মামলায় তথ্য গোপনের অভিযোগ
শুভেন্দু অধিকারী লমুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কুণাল ঘোষের অভিযোগ, নির্বাচনী হলফনামায় প্রার্থীকে নিজের নামে কোনও মামলা থাকলে তা উল্লেখ করতে হয়। এক্ষেত্রে মুকুল ও শুভেন্দু নারদ মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছেন। মুকুল রায় এই মামলার কথা উল্লেখই করেননি। আর শুভেন্দু নারদ মামলার কথা উল্লেখ করলেও সে সম্পর্কিত তথ্য গোপন করে গিয়েছেন। কোন ধারায় তিনি অভিযুক্ত তা নিয়ে উল্লেখ করেননি।
মুকুল-শুভেন্দুর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি কুণাল ঘোষের
কুণাল ঘোষ এই মর্মে দাবি করেছেন, মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীরা তথ্য গোপন করায় তাঁদের উচিত বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া। তিনি বলেন, এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত হোক। যদি অভিযোগ সত্য হয় তবে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া উচিত। এরপর কুণাল ঘোষ সংশোধনী এনে জানান, মুকুল রায় তথ্য গোপন করেছেন, শুভেন্দুর হলফনামায় বিষয়টি উল্লেখ আছে শুধু।
নারদ কেলেঙ্কারি মামলায় কুণালের তোপে মুকুল-শুভেন্দু
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নারদ কেলেঙ্কারি মামলায় ১৩ জনের নাম উঠে আসে। এখন পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আট জনকে গ্রেফতার করা হয়নি। কুণাল ঘোষ বলেন, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্ররা হলফনামায় নারদ মামলার তথ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু মুকুল রায় দেননি, শুভেন্দু আংশিক তথ্য দিয়েছিলেন।
কেন মুকুল-শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়, সাফাই সিবিআইয়ের
এদিন মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হল না, তার কারণ ব্যাখ্যা করেছে সিবিআই। চার নেতার বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জিশিটে উল্লেখ করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার প্রক্রিয়ায় কোনও অনুমতি পাননি তাঁরা। ফলে তাঁদের নামে চার্জশিটও দাখিল করা যায়নি।