মুকুলদা বাংলার ভোটাধিকার ছেড়ে দিল্লি পালিয়েছেন, কেডি সিং-যোগে খোঁচা কুণালের
মুকুলদা বাংলার ভোটাধিকার ছেড়ে দিল্লি পালিয়েছেন, কেডি সিং-যোগে খোঁচা কুণালের
অধিকারী-গড়ে গিয়ে শুধু শুভেন্দু অধিকারীকে নয়, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বলে পরিচিত মুকুল রায়কেও একহাত নিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, মুকুল রায় নিজেকে জননেতা বলেন। কিন্তু নিজে ভোটে লড়তে ভয় পান। আজ পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে তিনি জিততে পারেননি। তাই নিজেকে 'জননেতা' প্রমাণ করতে এবার ভোটে লড়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।
বাংলা ছেড়ে দিল্লিতে কেন পালিয়েছেন মুকুলদা
কুণাল ঘোষ মুকুল রায়কে নিশানায় বলেন, মুকুলদা কোনওদিন ভোটে জিততে পারেননি। তিনি বীজপুরের লোক, কিন্তু ছিলেন কলকাতার ভোটার। এখন আবার বাংলা ছাড়িয়ে দিল্লিতে চলে গিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ বাংলায় তাঁর ভোটাধিকার নেই, দিল্লির ভোটার হয়েছেন। আর বাংলার ভালো চাইতে এসেছেন।
মুকুল রায় জননেতা, তবে ভোটে লড়তে ভয় পান
মুকুল রায় এমনই একজন নেতা, যিনি আবার ভোটে লড়তে চান না। বলেন, আমি ঘুরে ঘুরে সংগঠন করব। ক্ষমতা থাকলে ভোটে দাঁড়িয়ে দেখান। তিনি তো আবার বাংলার ভোটাধিকার ছেড়ে দিল্লি পালিয়ে গিয়েছেন। আবার কেডি সিংয়ের সঙ্গে হাতও মিলিয়েছিলেন মুকুল রায়। কেডি সিংয়ের গ্রেফতারির দিনেই খোঁচা দিলেন কুণাল।
একুশের তিনটি বিশ্বাস শোনালেন কুণাল ঘোষ
কুণাল ঘোষ বলেন, ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২২৫টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপাল তৈরি থাকুন আপনাকে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করাতে হবে। কুণাল বলেন, তিনটি বিষয়ে আমার বিশ্বাস হয়ে গিয়েছে একুশ সালে। এক, করোনা চলে যাবে। দুই, তৃণমূল ফের জিতবে বিধানসভায়। তিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
ভয়ে না ভালোবাসায় বিজেপিতে মুকুল-শুভেন্দু-শোভনরা
পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের সভা থেকে কুণাল ঘোষ চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীদের। সবাইকেই ভয় দেখিয়ে দলে নিয়েছে বিজেপি। সারদা-নারদের ভিডিও দেখিয়ে, ইডির ভয় দেখিয়ে দলে টানা হয়েছে। ভয় না ভালোবাসা- তা আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
শুভেন্দু কোথা থেকে হারবেন ঠিক করে নিন, ২২৫ আসনে জয়ের বার্তায় চ্যালেঞ্জ কুণালের