মুকুল রায়কে দলে নিয়ে সারদা ইস্যুতে জ্ঞান দেবেন না, বিজেপিকে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের
মুকুল রায়কে দলে নিয়ে সারদা নিয়ে জ্ঞান দেবেন না, বিজেপিকে কটাক্ষ কুণালের
মুকুল রায়ের নাম করে বিজেপিকে একহাত নিলেন কুণাল ঘোষ। কৈলাশজিকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, মুকুলদার ছেলেও আপনার ভাতিজা। আর আপনারা মুকুল রায়ের নাম করে ভাগ মুকুল ভাগ বলেছিলেন। এখন কেন নাম নিতে ভয় পাচ্ছেন। মুকুল রায় কি আপনাদের দলে বলেই এখন ভয় পাচ্ছেন, একুশের নির্বাচনের আগে কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ।
মুকুল রায়কে একহাত, বিজেপিকে সারদা-কটাক্ষ কুণালের
কুণাল ঘোষের সাফ কথা, মুকুল রায়কে দলে নিয়ে সারদা নিয়ে জ্ঞান দেবেন না। মির্জা বলেছেন, মুকুল রায়ের গ্রেফতার হওয়া উচিত। অথচ মির্জাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার আগে পরের শব্দগুলোকে ধরে মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আমি তো স্রেফ মুকুল রায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার কথা বলেছিলাম। কেন তা করা হল না?
মুকুল ভাগ বলেছিল বিজেপি, এখন ভাইপোর নাম নিতে ভয়
কুণাল ঘোষ বলেন, ২০১৫-য় ভাগ আপনারা বলেছিলেন- ভাগ মুকুল ভাগ। তাহলে এখন কেন নাম নিতে বাধা। অভিষেক একটা বাচ্চা ছেলে, রাজনীতিতে এসে এত নাম করেছে স্বল্প দিনে। দুবার পর পর সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে। এলাকার নয়নের মণি। তৃণমূলে ছাত্র-যুবদের নয়নের মণি। তাঁর সঙ্গে রাজনীতিতে টেক্কা দিতে না পেরে ভাইপো শব্দ ব্যবহার করে কুৎসা করছে বিজেপি।
একটি শব্দ নিয়ে কাপুরুষতার পরিচয় দিচ্ছে বিজেপি
কুণাল ঘোষ বলেন, অভিষেককে ভাইপো বলে কাপুরুষতার পরিচয় দিচ্ছে বিজেপি। একটি শব্দ নিয়ে কৈলাশজি এবং কিছু বিজেপি নেতা যা করছেন, তাতে আমাদের আপত্তি রয়েছে। সেই শব্দটি হল ভাইপো। ভাইপো বলতে আপনারা কাকে বোঝাতে চাইছেন, তা খোলসা করুন। খোলসা করে নাম বলুন। নাম না করে ভাইপো বলবেন না।
মুকুলদার ছেলে শুভ্রাংশু, অমিত শাহের ছেলে জয় তো ভাতিজা
কুণালের কথায়, কৈলাশজি যাঁদের ভাই বলেন, তাঁদের ছেলেরা তো সবাই তাঁর ভাইপো বা ভাতিজা। জয় শাহের নাম না করেই কুণালের উক্তি, বিসিসিআইয়ে বসে আছেন তিনিও তো কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ভাতিজা। আর মুকুলদার ছেলে শুভ্রাংশু তিনি কি ভাতিজা নন কৈলাশজির! অভিষেককে ভাইপো কটাক্ষের জবাবে বললেন কুণাল।
অভিষেককে নিয়ে ভয় পাচ্ছে বিজেপি, তাই কুৎসা
কুণাল ঘোষের কথায়, তৃণমূলের যুবনেতাকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিজেপি। রামনগরের সভায় মিথ্যাচার করেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আসলে অভিষেককে নিয়ে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই ভয় পেয়ে মিথ্যাচার করছেন। কেন এই কটাক্ষ। রাজনীতিবিদের ছেলে কি রাজনীতিবিদ হতে পারেন না? অধ্যাপকের ছেলে অধ্যাপক হয় না? ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার হয় না? আইনজীবীর ছেলে আইনজীবী হয় না? রাজনীতিবিদের আত্মীয়-পরিজনরাও রাজনীতিতে আসতে পারেন। ঠিক যেমন শুভ্রাংশু, আকাশ বিজয়বর্গীয়রা এসেছেন।
ভাইপো নয় নাম বলুন, রাজনীতিতে পাল্লা দিতে না পেরে চরিত্রহনন! বিস্ফোরক কুণাল