মমতার চমক একুশের আগে, সাত বছর পর কুণাল ঘোষকে দিলেন 'গুরুদায়িত্ব'
২০২১ নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সাংগঠনিক রদবদল করে ফেলেছে। এই রদবদলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু তাবড় নেতার ডানা ছেঁটেছেন।
২০২১ নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সাংগঠনিক রদবদল করে ফেলেছে। এই রদবদলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু তাবড় নেতার ডানা ছেঁটেছেন। আবার এতদিন নিস্ক্রিয় থাকা অনেক নেতা-নেত্রীকে তিনি সক্রিয় করেছেন। বহিষ্কৃত নেতারাও ফেপর ফিরছেন মূলস্রোতে। তেমনই কুণাল ঘোষ এসেছেন তৃণমূলের রাজ্যস্তরের মুখপাত্রের তালিকায়।
কুণাল ঘোষ আবার ফিরিয়ে এসেছেন মূলস্রোতে
তৃণমূলের রদবদলে এবার বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাওবাদী তকমা সাঁটা ছত্রধর মাহাতোর মতো নেতাকে তিনি এনেছেন রাজ্য কমিটিতে। সিপিএমের বহিষ্কৃত ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি সম্পাদক পদে অভিষিক্ত করেছেন। আবার তৃণমূলে বহিষ্কৃত নেতা কুণাল ঘোষকে আবার ফিরিয়ে এনেছেন মূলস্রোতে।
২২ জনের মধ্যেই রয়েছে কুণাল ঘোষের নাম
তৃণমূল জাতীয় ও রাজ্যস্তরে মুখপাত্রের একটা তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকায় জাতীয় স্তরে জায়গা পেয়েছেন ১২ জন। আর রাজ্যস্তরে মুখপাত্রের তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে ২২ জনকে। সেই ২২ জনের মধ্যেই রয়েছে কুণাল ঘোষের নাম। রয়েছে সাংসদ নুসরত জাহানের নামও।
২০১৯-এ সাসপেনশন ওঠার পর থেকেই সক্রিয়
তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ২০১৩-র জুলাইয়ে সাসপেন্ড হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর শাস্তির মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে কেটে গিয়েছে সাত বছর। সাত বছর পর তিনি আবার তৃণমূলের মূল স্রোতে ফিরে এলেন। নতুন দায়িত্ব পেলেন তিনি। ২০১৯-এই তাঁর সাসপেনশন উঠে গিয়েছিল, তারপর থেকেই সক্রিয় হচ্ছিলেন রাজনীতিতে।
২০১৯-এর একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে হাজির
সাসপেনশন কাটিয়ে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন ২০১৯-এর একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে। তারপর থেকে একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছিল কুণাল ঘোষকে। এবার একেবারে মুখপাত্রের ভূমিকায় আনা হল তাঁকে। আর কুণালের পাশাপাশি যে দুই নাম নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে, তা হল নুসরত জাহান ও দেবাংশু ভট্টাচার্য।
রাজস্থানে গেহলটের ছদ্মবেশে নিজের ভূতই যেন দেখছেন রাজ্যপাল কলরাজ!