শাসকের সস্তার রাজনীতিতেই স্বাস্থ্যে সঙ্কট, শিশু-মৃত্যুতে বিস্ফোরক পোস্ট কুণালের
চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছে তিন দিনের শিশু। শিশুটির প্রাণহানির ঘটনায় সস্তার রাজনীতিকেই দায়ী করেছেন কুণাল ঘোষ।
চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছে তিন দিনের শিশু। শিশুটির প্রাণহানির ঘটনায় সস্তার রাজনীতিকেই দায়ী করেছেন কুণাল ঘোষ। উত্তর ২4 পরগনা কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে শিশু মৃত্যুর পিছনে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নয়, রয়েছে শাসক দলের সস্তার রাজনীতি আর প্রশাসনের ব্যর্থতা।
রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ এই ঘটনায় একটি পোস্ট করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সাগর দত্ত হাসপাতাল একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। তা সত্ত্বেও শিশুটিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া দরকার হল কেন? এই প্রশ্নের জবাবেই লুকিয়ে রয়েছে কারণ। আর কারণটি হল সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের পেডিয়াট্রিক বিভাগে বিশেষ ভেন্টিলেটর নেই। কেন নেই? সেই প্রশ্নই তুলে দিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ।
সাগর দত্ত কলেজ হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা দুঃখপ্রকাশ করে প্রাক্তন সংসদ লিখেছেন, এই হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ বরাদ্দ করেছিলাম। কিন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্ত পরিকাঠামো আছে বলে বরাদ্দ টাকা ফিরিয়ে দেয়। আমি বিস্মিত হয়ে যাই এই ঘটনায়। উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও হাসপাতাল কি সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ টাকা ফেরত দিতে পারে!
আসলে এর মধ্যে রয়েছে সস্তার রাজনীতি, যা করছে রাজ্যের শাসকদল। উন্নয়ন উপেক্ষা করে দলবাজি করছেন এ শ্রেণির নেতা। তাঁর আক্ষেপ, সেদিন যদি তাঁর টাকায় এই ধরনের যন্ত্রপাতি কেনা হত, তাহলে হয়তো শিশুটি মারা যেত না। তা না করে টাকা ফেরত মানকে পারছি না। তাই আমার মতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নয়, শিশু মৃত্যুর জন্য দায়ী তৃণমূলের সস্তার রাজনীতি।
এর পাশাপাশি কুণাল ঘোষ জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থে চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। একইসঙ্গে হাসপাতালের ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা উচিত। তিনি লিখেছেন- হাসপাতাল পরিষেবা চালু রেখেই আন্দোলন চলুক। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক।