দোষীসাব্যস্ত কুণাল, কিন্তু শাস্তি দেবে না আদালত! আত্মহত্যা মামলায় চমকপ্রদ রায়
দোষীসাব্যস্ত কুণাল কিন্তু শাস্তি দেবে না আদালত! আত্মহত্যা মামলায় চমকপ্রদ রায়
কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টায় মামলার অভুতপূর্ব রায় ঘোষণা করল আদালত। শুক্রবার বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য এই মামলায় কুণাল ঘোষকে দোষীসাব্যস্ত করেন। কিন্ত দোষীসাব্যস্ত কুণাল ঘোষকে কোনও শাস্তি দেবে না আদালত। বিচারক জানিয়ে দিয়েছেন, আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। শাস্তি বিধান করব না।
যত অবসাদই হোক, আত্মহত্যা সমাধান নয়
শুক্রবার কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের পুলিশের দায়ের করা মামলাটির শুনানি ছিল। এমপি-এমএলএ আদালতে। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানান, কোনও শাস্তি বিধান করব না। তবে শুধু বলব কুণাল ঘোষের এই সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। আপনি যে লড়াই করছেন করুন। যত অবসাদই হোক, আত্মহত্যা কখনই সমস্যার সমাধান হয় নয়।
তিরস্কারটাই আপনার শাস্তি, কুণালকে আদালত
বিচারপতি মনোজিত ভট্টাচার্য তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, আপনি বিশিষ্ট সাংবাদিক। প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান। আপনার কাছ থেকে সমাজ অনেক কিছু আশা করে। আপনি মামলা আইনানুগ পথে লড়ুন এবং কাজ চালিয়ে যান। কিন্তু আত্মহত্যা করবেন না। আত্মহত্যা করা বা করার চেষ্টা করা অপরাধ। আর এই তিরস্কারটাই আপনার শাস্তি।
দোষীসাব্যস্ত কুণাল, কিন্তু শাস্তি নয়
বিচারপতি এদিন তাঁর অর্ডারে, জেল ও পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, কুণাল ঘোষের লাইফ রিস্ক ছিল। খুন হতে পারতেন। যথাযথ নিরাপত্তা ছিল না। আর বলেন, কুণাল ঘোষ প্রেসিডেন্সি জেলে আত্মহ্ত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ২০১৪ সালের ওই ঘটনায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। কিন্তু শাস্তি দেওয়া হল না। বিচারপতি জানিয়ে দিলেন, শাস্তি দেব না, তিরস্কারটাই শাস্তি।
সামাজিক সম্মানের কথা বিবেচনা করে শাস্তি
বিচারপতি আরও জানান, কুণাল ঘোষের সামাজিক সম্মানের কথা বিবেচনা করে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হল না। তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। তাঁকে আত্মহত্যার চেষ্টা মামলায় দোষীসাব্যস্ত করেই বুঝিয়ে দেওয়া হল তিনি সঠিক কাজ করেননি আত্মহ্ত্যার চেষ্টা করে। উল্লেখ্য কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আত্মহ্ত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছিল হেস্টিংস থানার পুলিশ।
প্রেসিডেন্সি জেলে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা কুণালের
২০১৪ সালে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সারদার টাকা তছরূপের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হন। সেইসময় তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহ্ত্যার চেষ্টা করেন বলে জানা গিয়েছে। তারপরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সুস্ত হয়ে ওঠেন। এরপরই হেস্টিংস থানার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে। সেই মামলার রায় ঘোষণা হল এদিন।
৩৮১ জন পাস না করেই চাকরি পেয়েছে, SSC নিয়ে আদালতে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট বাগ কমিটির
Recommended Video