মুকুলের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার জল্পনা বাড়িয়েছিলেন, এবার দলবদলের রণনীতি বোঝালেন কুণাল
তৃণমূলে মুখপাত্র হয়েই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এবার তিনি রহস্য বাড়িয়ে জানালেন, এক একজন নেতার দলত্যাগের এক এক রকম স্ট্র্যাটেজি।
তৃণমূল কংগ্রেসে মুখপাত্র হয়েই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এবার তিনি রহস্য বাড়িয়ে জানালেন, এক একজন নেতার দলত্যাগের এক এক রকম স্ট্র্যাটেজি। সবাই একরকমভাবে পরিকল্পনা তৈরি করে না। তাঁর এই মন্তব্য ফের বাজার দরম করে দিল রাজ্য-রাজনীতির।
নতুন লড়াই, তাই নতুনভাবে পরিকল্পনা
সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ বলেন, সামনেই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। সমস্ত রাজনৈতিক দলই আলাদা আলাদা ভাবে পরিকল্পনা প্রস্তুত করছে। কে কী ভাবে চলবে, সেটা তার ব্যাপার। বিজেপি রাজ্যে আগেও লড়েছে, এবারও লড়বে। বিজেপি তো একেবারে নতুন কোনও দল নয়। তবে নতুন লড়াই, তাই নতুনভাবে পরিকল্পনা অবশ্যই সাজানো হবে।
বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে কুণাল
তিনি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলে জানান, বিজেপির মঞ্চে কারা একসঙ্গে থাকলেন, কারা একসঙ্গে গেলেন, বা কেউ একসঙ্গে থাকছে কি না- অবশ্যই সেই বিষয়টা দেখতে হবে। সেটা যেমন হেরফের হয়, হেরফের হয় ভোটেরও। এই তো দিলীপ ঘোষ লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হলেন, তারপরই উপনির্বাচনে হেরে গেলেন।
২০১৯-এর ভোট ২০২১-এ! অনিশ্চিত
তাঁর কথায়, যে মানুষ লোকসভায় অর্থাৎ দিল্লির ভোটে বিজেপিকে ভোট দিল, সেই একই মানুষ বাংলার ভোটে তাদের ভোট দিতে নাও পারে। এটা আগেও দেখা গিয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে ভোট পেয়েছিল, ২০১৬ সালে সেই ভোট পায়নি। তাই ২০১৯-এর ভোট ২০২১-এ পাবেন, এমনটা ঠিক নেই।
দলবদলের রণনীতি বোঝালেন কুণাল
কুণালের কথায়, দলবদল করাটা কৃতিত্বের নয়! বরং দলে থেকে যাওয়াটা একটা মূল্যবোধের কাজ করে। আর দল ছাড়ার একটা প্রকারভেদ রয়েছে। কেউ অনুগামীদের আগে পাঠিয়ে নিজে পরে যোগদান করেন। আবার কেউ আগে যোগদান করে পরে অনুগামীদের ভাঙিয়ে নিয়ে আসেন। দলবদলের রণনীতি নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য কুণালের।