তৃণমূল কংগ্রেসের ‘হেভিওয়েটে’র ঘরে ফেরার জল্পনা, জেলার রাজনীতিতে এখন জোর চর্চা
অনেদিন ধরেই তিনি তৃণমূলের মূল স্রোতে নেই। তবু আছেন দলে। কিন্তু গনিখান চৌধুরীর জন্মদিনে তিনি তাঁর পুরনো দলের অনেক কাছে চলে এলেন। তিনি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।
অনেদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মূল স্রোতে নেই। তবু আছেন দলে। কিন্তু গনিখান চৌধুরীর জন্মদিনে তিনি তাঁর পুরনো দলের অনেক কাছে চলে এলেন। তিনি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। একটা সময়ে কংগ্রেস ছেড়ে তিনি তৃণমূলে গিয়ে সর্বসর্বা হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু এখন তাঁকে সরে যেতে হয়েছে মূল স্রোত থেকে। তিনি এখন কংগ্রেসের অনেক কাছাকাছি।
উপলক্ষ গনিখানের জন্মদিন
গনিখানের জন্মদিনে তাঁর ভাবশিষ্য কৃষ্ণেন্দু এলেন কোতোয়ালির হাভেলিতে গিয়ে গনিখানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে। না, বিগত কয়েক বছরে তাঁকে দেখা যায়নি এই স্থলে। এবার তিনি এলেন। আবু হাসেম খান চৌধুরী বা ডালুবাবু, মোস্তাক আলম ও ইশা খান চৌধুরীদের সঙ্গেই শ্রদ্ধা জানালেন গনিখানকে।
কংগ্রেসের সঙ্গে প্রাতঃরাশ
শুধু গনিখানকে শ্রদ্ধা জানিয়েই ক্ষান্ত নন তিনি। এককালে তাঁর কংগ্রেসি সতীর্থদের পাশে নিয়ে তিনি প্রাতঃরাশ সারেন। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ যে, তৃণমূল একই সময়ে গনিখানের জন্মদিন পালন করেন পৃথকভাবে। সেখানে অন্য তৃণমূলীরা ছিলেন। ছিলেন না কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ। তাতই জল্পনার পারদ চড়ছে।
গুঞ্জন কৃষ্ণেন্দু কংগ্রেসে ফিরছেন
কৃষ্ণেন্দুর এহেন পদক্ষেপের পর স্বভাবতই জল্পনার পারদ চড়েছে। দলের সঙ্গে না গিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে গনিখানের জন্মদিন পালনের ফলে তাঁর ঘরওয়াপসি নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়। জেলার রাজনীতিতে জোর গুঞ্জন কৃষ্ণেন্দু কংগ্রেসে ফিরছেন। ডালুবাবুর সঙ্গে এদিন খোশমেজাজে গল্পন করতেও দেখা যায় কৃষ্ণেন্দুকে।
এই প্রথম হাভেলিতে কৃষ্ণেন্দু
গনিখানের মৃত্যু হয়েছিল ২০০৬ সালে। তারপর থেকে জন্মদিন হোক বা মৃত্যুদিন কোনওদিনই কোতোয়ালির হাভেলিতে আসেননি কৃষ্ণেন্দু। স্বভাবতই এবার আসার পর তাঁকে নিয়ে জল্পনা পারদ চড়তে থাকে। কৃষ্ণেন্দু এর আগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গনি খানের মূর্তি নির্মাণ করেন বৃন্দাবনী ময়দান সংলগ্ন মুক্তমঞ্চে। সেই থেকে সেখানে গিয়েই শ্রদ্ধা জানাতেন কৃষ্ণেন্দু। এবারই তিনি হাভেলিতে এসে শ্রদ্ধা জানালেন তাঁর ‘রাজনৈতিক গুরু' গনিখানকে।
বরকতদা সমস্ত রাজনীতির ঊর্ধ্বে
কৃষ্ণেন্দু অবশ্য সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বরকতদা সমস্ত রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই কোতোয়ালি এসেছিলাম। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, এবার বিবেকের তাড়নাতেই এখানে এসেছি। এই আসার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগসূত্র নেই। কংগ্রেস ও তৃণমূলের তদরফেও সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে।