জেলা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় 'ব্রাত্য'! হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার কথায় জল্পনা তুঙ্গে
জেলায় দলের সংগঠনে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও মৌসম বেনজির নূরের ওপরেই ভরসা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই যে জেলা সভাপতি থাকবেন তা জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মালদহে দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠকে দুই নেতা নেত্রী অনুপস্থিত থাকায় জল্পনা শুরু হয়। পরে জানা যায় সাবিত্রী মিত্রকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠিয়েছেন ব্জ্রি উদ্বোধনে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অপর হেভিওয়েট নেতা কৃষ্ণেন্দু নায়ারণ চৌধুরীর উত্তরে জল্পনা আরও বেড়েছে।

আস্থা মৌসমের ওপরেই
লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিলেন মৌসম বেনজির নূর। কিন্তু উত্তর মালদহ থেকে বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। ভোটের পরপরই তাঁকে জেলা সভাপতির
পদে বসিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। আর এবার জেলা সফরে গিয়ে ফের তাঁর ওপরেই আস্থা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মৌসমের প্রশংসায় মমতা
এদিনের বৈঠকে মৌসম বেনজির নূরের প্রশংসাও করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি বলেন, মৌসম হয়ত অনেকের থেকেই ছোট। কিন্তু সে একবারের বিধায়ক এবং দুবারের সাংসদ। এছাড়াওয় জেলা সভাপতি হিসেবে সংগঠন পরিচালনার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।

দুই নেতানেত্রীর অনুপস্থিতিতে জল্পনা
মালদহে প্রশাসনিক সফরে দলীয় বৈঠকও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সেই বৈঠকে দেখতে পাওয়া যায়নি জেলার দুই হেভিওয়েট সাবিত্রী মিত্র এবং কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। জলীয় বৈঠকের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সাবিত্রী মিত্রকে তিনি পাঠিয়েছেন ভুতনি সেতু উদ্বোধনের জন্য। কিন্তু কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর কথায় তৈরি হয়েছে জল্পনা।

বৈকে 'ব্রাত্য' কৃষ্ণেন্দু
সূত্রের খবর, প্রশ্নের উত্তরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানিয়েছেন, দলের ওই বৈঠকে থাকার জন্য জেলা সভানেত্রী তাঁকে আমন্ত্রণই জানাননি।
মুকুলের মতোই দল ভাঙার কারিগর! সরযূর দলত্যাগে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি