কেটেছে তিতলির বাধা, রবিবার মহাপঞ্চমীতেই জনস্রোত তিলোত্তমার রাস্তায়
বোধনের আগেই চতুর্থীতে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে প্রচুর মানুষের ভিড় দেখেছিল তিলোত্তমা৷ রবিবার সেই ভিড়কে উপেক্ষা করে সপ্তাহের শেষ দিন আরও বেশি জনপ্লাবনের সাক্ষী হল শহর কলকাতা।
বোধনের আগেই চতুর্থীতে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে প্রচুর মানুষের ভিড় দেখেছিল তিলোত্তমা৷ রবিবার সেই ভিড়কে উপেক্ষা করে সপ্তাহের শেষ দিন আরও বেশি জনপ্লাবনের সাক্ষী হল শহর কলকাতা। এদিনটা ছিল সম্পূর্ণ ভাবে বৃষ্টি শূন্য। সকালের দিক আকাশে মেঘ দেখা গেলেও একেবারেই বৃষ্টি না হওয়ায় দুপুর থেকেই শহরের পুজো মণ্ডপগুলিতে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ভিড়। যা একসময় জনপ্লাবনে পরিণত হয়।
অন্যান্য বছরে ভিড় হতে শুরু করে ষষ্ঠী থেকে। কিন্তু এবার একেবারে ঠিক তার উল্টো। পুজো আগে শনি ও রবিবার পড়ায় যেন দু'দিন আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো৷ এই ট্রেন্ড শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যেই৷ কলকাতার পাশ্ববর্তী জেলাগুলোতেও একই চিত্র। একদিকে তিতলির হাত থেকে রক্ষা, অন্যদিকে সব পুজো দেখার প্রতিযোগিতা। দর্শনার্থীদের কথা ভেবে তৈরি ছিল পুজো উদ্যোক্তারাও। আগামী দুদিন ভিড় আরও বাড়বে আশাবাদী পুজো কমিটিগুলি।
অন্যবার পুজোর প্রথম দিকে কলকাতার বাইরের মানুষের ভিড় থাকে। অর্থাৎ জেলাগুলির দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়। কিন্তু এবার শুরু থেকেই কলকাতার মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। কারণ হিসেবে অবশ্য নিম্নচাপের দিকে আঙ্গুল তুলছে সবাই। ফের বৃষ্টির আগেই আগেভাগে সেরা পুজোগুলির প্রতিমা থেকে মণ্ডপসজ্জা মানুষ দেখে নিতে চাইছে।
তবে ভিড় সামলাতে দুদিনেই নাভিশ্বাস বেরিয়ে গিয়েছে প্রশাসনের। ভিড় সামাল দিতে উত্তর থেকে দক্ষিণ তীব্র যানজট বেশ ভুগিয়েছে শহরবাসীকে৷ তবে এসবই খণ্ডচিত্র মাত্র৷ যা কোনওভাবে উৎসববিমুখ করতে পারেনি শহরবাসীকে৷ পুলিশ-প্রশাসনও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশবাহিনী। এবার কলকাতা পুলিশের বিশেষ বিশেষ বাহিনীকে বিশেষ রূপে দেখা যাবে। ফলে উশৃঙ্খলতা একটু কমবে বলে আশাবাদী প্রশাসন। সবমিলিয়ে উৎসবে ভাসছে শহর তিলোত্তমা সহ গোটা রাজ্য।