স্ক্রিনিং থেকে লাগেজ ট্যাগিং, লকডাউন পরবর্তী বিমানযাত্রায় নানা পরিবর্তন
করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কলকাতা বিমানবন্দরে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লকডাউন উঠে গেলে বিমান চলাচল শুরু হলে এই পদক্ষেপগুলি চোখে পড়বে।
করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কলকাতা বিমানবন্দরে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লকডাউন উঠে গেলে বিমান চলাচল শুরু হলে এই পদক্ষেপগুলি চোখে পড়বে। বিমান চলাচলের নির্দিষ্ট কোনও তারিখের কথা জানা না গেলেও, কলকাতা-সহ দেশের সমস্ত বিমানবন্দরগুলিকে নতুন ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ কর্মীরাই বলছেন জঙ্গল দিয়ে ঢুকে যাও! মমতার ঘরে ফেরানোর আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন পরিযায়ী শ্রমিকদের
কলকাতা বিমানবন্দরে করোনা প্রোটেকশন
জানা গিয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে যে নতুন পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজার রাখা ও স্পর্শ ছাড়াই ভ্রমণের ওপর জোর দেওয়ার মতো বিষয়। প্রথমে যে লাগেজ যাত্রীরা নিয়ে ঢুকবেন, তাতে জীবানু নাশক স্প্রে করা হবে। ঢোকার সময়ই যাত্রীদের স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। পাশাপাশি যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করে দেখা হবে। তাঁদের পরিচয়পত্রও মেশিনে যাচাই করে দেখা হবে।
কিয়স্কে কোনও স্পর্শ করা যাবে না
সামাজিক দূরত্ব বজার রেখে কিয়স্কের সামনে দাঁড়াতে হবে। কাউকে কিয়স্কে স্পর্শ করতে দেওয়া হবে না। যাত্রীকে তাঁদের মোবাইল ফোন, টিকিট এবং পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। কিয়স্ক থেকে বের হওয়ার পরেই যাত্রীদের হাতে টিকিট দেওয়া হবে। বোর্ডিং পাস পাওয়ার পরেই যাত্রীরা পরবর্তী কাউন্টারে যেতে পারবেন। যাত্রীদেরই ব্যাগেজের ট্যাগ লাগাতে হবে। টিকিটের সঙ্গেই ব্যাগেজের ট্যাগ পাওয়া যাবে।
যাত্রী ও কর্মীদের রক্ষা করাই বড় চ্যালেঞ্জ
কলকাতা এয়ারপোর্টের ডিরেক্টর কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, লকডাউন পরবর্তী সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল যাত্রীদের পাশাপাশি কর্মী ও অন্যদের করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করা। আগে বিমানবন্দরে ঢোকার সময় সিআইএসএফকে কাগজের টিকিট দেখাতে হত। এবার যাত্রীকে টিকিট রাখতে হবে ক্যামেরার সামনে।
সিআইএসএফ জওয়ানদের দেওয়া হবে পিপিই কিট
এয়ারপোর্টে যেসব সিআইএসএফ জওয়ান থাকবেন, তাঁদের পিপিই কিট দেওয়া হবে। এয়ারপোর্টে থাকা দোকানগুলি খোলা হবে না। তবে তৈরি করা খাবার থাকলে তার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। চা কফি পাওয়া গেলেও, অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এয়ারপোর্টে পাওয়া যাবে না।