মহালয়ার আগেই আগমনীর সুর শীল লেনের দাস বাড়িতে, শুরু পুজো
মহালয়ার আগেই আগমনীর সুর শীল লেনের দাস বাড়িতে, শুরু পুজো
করোনার লাল সর্তকতা আটকাতে পারেনি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজাকে। নিয়ম মেনেই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মধ্য কলকাতার ট্যাংরার শীল লেনের দাস বাড়িতে ঢাকে পড়ল কাঠি।
পুজোর ঠাকানা
প্রতিবছরের মতো এবছরও মহালায়া আগে পিতৃপক্ষের কৃষ্ণ নবমীতেই শুরু হয়ে গেল দাস বাড়ি দুর্গাপুজো।সবে মাত্র কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা যেতে শুরু করেছে দেশে বিদেশে ভিন রাজ্যে। মহালয়াও এখনও বাকি চার দিন।
শুরু পুজো
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মহালায়া। সেই সঙ্গে সঙ্গে দেবীপক্ষের সূচনা। তার আগেই শুক্রবার থেকে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে গেল শুরু হয়ে গেল মধ্য কলকাতার ট্যাংরার শীল লেনের দাস বাড়ির দুর্গা পুজো। পুজো চলবে আগামী ৪৫-৪৬ দিন ধরে। অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
আদ্রা নক্ষত্রের অবস্থান দেখে হয়ে গিয়েছে বোধন
পুজো উদ্যোক্তা দাস বাড়ির দুই ভাই-বোন প্রসেনজিৎ ও মৌমিতা জানান, 'শুক্রবার সকালে আদ্রা নক্ষত্রের অবস্থান দেখে হয়ে গিয়েছে বোধন।' বোধন হলেও মৌমিতারা জানান, সপ্তমী পর্যন্ত পুজো হবে বাড়ির দেবতার নিত্যপুজোর মতো করে। সপ্তমী থেকে শুরু মহাপুজো। তখন অঞ্জলি, হোম, বলি-সহকারে মহাপুজোর সমস্ত নিয়ম মানা হয়।
৪৫ থেকে ৪৬ দিন ধরে হয় চণ্ডীপাঠ এবং বেদপাঠ
এ
বাড়িতে
৪৫
থেকে
৪৬
দিন
ধরে
হয়
চণ্ডীপাঠ
এবং
বেদপাঠ।
আরও
জানা
গিয়েছে,
কৃষ্ণপক্ষের
নবমী
তিথির
আদ্রা
নক্ষত্র
মেনে
দাস
বাড়ির
এই
পুজো
শুরু
হয়েছে
২০০৭
সাল
থেকে
বেদান্ত
মতে।
এ
নিয়ে
১৩
বছর
প্রতিমা
পুজো
হচ্ছে
দাস
বাড়িতে।
এর
আগে
ঘট
পুজোর
প্রচলন
ছিল।
তবে
করোনার
কোপে
পুজোতেও
কাটছাঁট
করতে
হয়েছে।
প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি দুই ভাইবোন সংস্কৃত শিখতে শুরু করেন। কিন্তু ভাষা শিখে নিলেও পুজোর রীতি-প্রথা জানা সম্ভব ছিল না তাঁদের পক্ষে। তাই স্থির করেন পুরাণ, বেদ এবং উপনিষদ পড়বেন।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার শেষে তিনি চলে যান বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে শেখেন বেদ। এর পরেই শুরু হয় এই পুজো।
সারা বছর রাধাকৃষ্ণের পুজো করেন অন্য পূজারী। কিন্তু এই পুজোয় অবশ্য পুরোহিতের ভূমিকায় থাকেন বাড়ির একমাত্র ছেলে প্রসেনজিৎ। যিনি পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। কর্মসূত্রে সারাবছর বাইরেই থাকেন তিনি। আগে পূজারী হিসেবে ছিলেন তাঁর দিদি মৌমিতা, পেশায় চিকিৎসক।
পুজো শুরু হলেও ট্যাংরার শীল লেনের দাস পরিবারের বাড়ির পুজোয় এবছর লোকজনের তেমন সমাগম নেই। করোনা আবহে এবছর তেমন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেই জানিয়েছেন বাড়ির সদস্যরা। এছাড়াও এবার দেবীকে প্রসাদে গোটা ফল দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া ঢাকের ব্যবস্থাও এবার করা হয়নি। বদলে ঢাকের বাদ্দির মিউজিক চালিয়েই বরণ করা হচ্ছে মাকে। মন্দির চত্বরও প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
কংগ্রেসের লজ্জা, আসামির জন্য রাস্তায়! রিয়ার সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নে বিস্ফোরক দিলীপ